কমলাপুরে ঈদের আমেজ

দোর গোড়ায় কড়া নাড়ছে ঈদ-উল-ফিতর। চারিদিকে ঈদের আমেজ। আমেজটা একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে কমলাপুর রেল স্টেশনে।

ঘরমুখী মানুষ ছুটছে ট্রেনের টিকিটের পিছনে। সময়মত টিকিট হাতে পাওয়া মানেই হলো সোনার হরিণ হাতে পাওয়া । ঈদের অগ্রিম টিকিটের দ্বিতীয় দিন আজ। তাই বলে ভিড় কিন্তু কম নেই। বরং পরিস্থিতি উল্টো।

মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে টিকিট দেয়ার কথা থাকলেও দেখা গেছে, সকাল ৬টা নাগাদ ট্রেনের টিকিটের লাইন ষ্টেশনের মূল চত্বর ছাড়িয়ে গেছে। এ দিন ২২ জুনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এ দিনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বলে জানা গেছে। ১৩ জুন মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

ভোররাত থেকেই টিকিট প্রত্যাশীরা কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন ধরে অবস্থান নিয়েছে। এর আগে ১২ জুন সোমবার আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

১৪ জুন বুধবার, ২৩ জুনের টিকিট, ১৫ জুন বৃহস্পতিবার, ২৪ জুনের টিকিট ও শুক্রবার ১৬ জুন, ২৫ জুনের টিকিট দেওয়া হবে।

আর ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরার জন্য রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর, ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে। ১৯ জুন বিক্রি হবে ২৮ জুনের টিকিট, ২০ জুন বিক্রি হবে ২৯ জুনের টিকিট, ২১ জুন বিক্রি হবে ৩০ জুনের টিকিট, ২২ জুন বিক্রি হবে ১ জুলাইয়ের টিকিট, ২৩ জুন বিক্রি হবে ২ জুলাইয়ের টিকিট।

জানা গেছে, প্রতিদিন কমলাপুর স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে ২২ হাজার ১২২টি টিকেট দেয়া হবে। এর মধ্য ২৫ শতাংশ মোবাইলে বিক্রির জন্য নির্ধারিত। ৫ শতাংশ ভিআইপি ও ৫ শতাংশ রেলের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, ‘ঈদের অগ্রিম টিকিট পেতে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হচ্ছে। যতক্ষণ টিকিট থাকবে ততক্ষণ যাত্রীরা তা পাবেন। যে কোনও অনিয়ম ঠেকাতে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার নিয়োগ করা হয়েছে।’

এ বছর কমলাপুর স্টেশন থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার যাত্রী পরিবহনের কথা জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। থাকবে ১৪টি বিশেষ সার্ভিস।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৩ জুন ২০১৭