৩ বছরে খেলাপী ঋণ বেড়েছে ০.৩০%

২০১৩ সালে খেলাপী ঋণ বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ওই ৩ বছরে খেলাপী ঋণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। এভাবে ক্রমান্বয়ে খেলাপী ঋণ বেড়ে যাওয়া ব্যাংকিং খাতের জন্য হুমকি।

আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) অডিটোরিয়ামে ‘ট্রেজারি অপারেশনস অব ব্যাংকস ২০১৬’ বিষয়ক কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ২০১৬ সালে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ; যা আন্তর্জাতিক হিসাবের তুলনায় দ্বিগুণ। পূণঃতফসিল নীতিমালায় ছাড় দেওয়ার কারণে খেলাপী ঋণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। এছাড়া আরও কিছু কারণে ব্যাংকিং খাতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে খেলাপী ঋণ।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ব্যাংকিং খাতের দৈন্য দশার মূল কারণ খেলাপী ঋণ। এই ঋণের কারণেই সুদের হার এখনও নাগালের বাইরে। একইসঙ্গে ভালো ঋণ গ্রহীতারা বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যাংকগুলোকে খেলাপী ঋণ আদায়ে সর্বোচ্চ তদারকি করতে হবে।

বিআইবিএম এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং খাতে সর্বনাশ ডেকে আনছে খেলাপী ঋণ। এই অবস্থার উন্নতী না হলে চরম খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে পুরো ব্যাংকিং খাত। এ ধরনের ঋণের কারণে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাংকগুলো ভালো গ্রাহকদের কাছ থেকে চড়া সুদ নিচ্ছে।

এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন বলেন, ট্রেজারি ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। সব ব্যাংকের প্রধানদের ট্রেজারি ব্যপস্থাপনায় বিশেষ নজর না দিলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদলায় সরকার; যা এই খাতের জন্য মঙ্গলজনক নয়। ব্যাংকের জন্য সুফল বয়ে আনতে সরকারের উচিৎ, বছরের প্রথমেই একটি নকশা তৈরি করা।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের পরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব, দ্য সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক মইনুদ্দিন, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান মেহেদি জামান, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের ট্রেজারি বিভাগের প্রধান আরিকুল আরিফিন প্রমুখ।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ১৮ মে ২০১৭