৭.২ প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশাবাদ

রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ওব্যাংক বর্হিভূত খাত থেকে অর্থায়ন বৃদ্ধিসহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকায় চলতি অর্থবছরে ৭.২ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের আশা ব্যক্ত করা হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের ১৫তম অধিবেশনে সোমবার ৮ মে বৈঠকে উত্থাপিত বাজেট ২০১৬-১৭: দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত দেশের বাইরে থাকায়তার পক্ষে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন।

এতে বলা হয়েছে, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমায় এবং ব্যাংক বর্হিভূত খাত থেকে আয় বাড়ায় ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহণের পরিমাণ অনেক কমেছে। বাজেটে ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে ঘাটতি হয়েছে জিডিপির ০.৩৩ শতাংশ। ঘাটতি মোকাবলোয় বৈদেশিক খাত থেকে গত অর্থবছরে নিট অর্থায়ন হয়েছিল ৭৭৪ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছরে অর্থায়নের পরিমাণ কমে ৩২৪ কোটি দাঁড়িয়েছে।

বৈদেশিক খাত থেকে নিট অর্থায়ন ৪৫২ কোটি টাকা কম হলেও ব্যাংক বর্হিভূত খাত থেকে অর্থায়নের টার্গেট ১৯ হাজার ৬১০কোটি টাকা অতিক্রম করে প্রথমার্ধেই অর্থায়ন হয়েছে ২২ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বার্ষিক পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। সরকার ব্যাংক থেকে ৩৮ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা ঋণগ্রহণের টার্গেট করেছিল। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক অবস্থান বজায় থাকবে বলেও প্রত্যাশা করা হয়।

৬ মাসে মূল্যস্ফীতির গড় ৫.৫১ শতাংশ

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বা ছয় মাসে দেশে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫.৫১ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৬৮ শতাংশ কম এবং বাজেটে উল্লেখিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম। প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘জনজীবনে স্বস্তি বজায় রাখতে মূল্যস্ফীতিকে আমরা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্য্ন্ত গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। যেখানে গত অর্থবছরের ওই একই সময় মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।’

তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় খাদ্য মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেলেও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর হতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্য্ন্ত খাদ্যমূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ৫১ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রতিবেদনে সন্তোষজনক কৃষি উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের স্থিতিশীল মূল্য,অনুকূল মূদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি এবং স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে দেশব্যাপী পণ্য সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বিধায় সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি আর বাড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
আজকের বাজার: আরআর/ ০৮ মে ২০১৭