৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস

৯ ডিসেম্বর, আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিকেল চারটায় শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব জেনোসাইড অ্যান্ড জাস্টিস’এর তরুণ গবেষকদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সংগৃহীত সাক্ষ্য-বিবরণী সম্বলিত তাদের প্রতিবেদন পেশ করবেন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করবেন গণহত্যা অধ্যয়নে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞ আর্জেন্টিনার ইরিনা মাসিমিনো।

সবশেষে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত বর্বরতাসহ দেশে দেশে গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-চেতনামূলক সঙ্গীত পরিবেশন করবেন ব্যান্ডসঙ্গীতদল ‘অবসকিওর’। এ অনুষ্ঠানে দলের নতুন গান ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ অন্যান্য সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে।

জাতিসংঘে ১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো গণহত্যা প্রতিরোধ ও এ সংক্রান্ত শাস্তি বিষয়ক একটি প্রথা গ্রহণ করে। তবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে ৯ ডিসেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।

এ দিবসের মূল লক্ষ্য হলো গণহত্যা বিষয়ক প্রথাটির ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং গণহত্যায় মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ ও সম্মান করা। দিবসটি জাতিসংঘের প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রকে এ বিষয়ও স্মরণ করিয়ে দেয় যে তাদের নিজ জনগণকে গণহত্যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য দায়িত্ব আছে। গণহত্যার উস্কানি বন্ধ করা ও গণহত্যা ঘটলে তা প্রতিরোধ করা এই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

ইরিনা মাসিমিনো বলেন, গণহত্যা বলতে নিদিষ্ট একটি ভৌগোলিক অংশে একযোগে বা অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ হত্যা করাকে বোঝায়। এফবিআই’র মতে গণহত্যা হলো সেই হত্যাকাণ্ড যখন কোন একটা ঘটনায় চার বা তার অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যায় এবং হত্যাকাণ্ডের মাঝে কোন বিরতি থাকে না। গণহত্যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট স্থানে ঘটে, যেখানে এক বা একাধিক মানুষ অন্যদের মেরে ফেলে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৯ ডিসেম্বর ২০১৭