চট্টগ্রাম ও মাদারীপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

চট্টগ্রাম ও মাদারীপুর জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বুধবার রাতে পাঁচজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চট্টগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ও সলিমপুর এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় নারীসহ তিনজন নিহত এবং তিনজন গুরুতর আহত হন। পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সলিমপুরস্থ ফকিরহাট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি কাভার্ডভ্যানের চাপায় এক নারী নিহত হয়। এতে তার সাথে থাকা ৭ বছর বয়সের এক শিশুও গুরুতর আহত হয়।

আহত শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ(চমেক)হাসপাতালে ভর্তি করলেও নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া পায়নি। এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে উত্তেজিত স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কের ওপর‘ওভার ব্রিজ’নিমার্ণের দাবি জানান।

খবর পেয়ে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানা এবং ফৌজদারহাট ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগে, রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কুমিরাস্থ গুল আহমেদ জুট মিলস এলাকায় মহাসড়কে প্রাইভেট কার ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন গুরুতর আহত হয়।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত চারজনকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও মেজবা উদ্দিন নামের দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রফিক হোসেনের ছেলে এবং মেজবার বাড়ি মীরসরাই থানার ডুমখালি গ্রামে।

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)সাইফুল ইসলাম কুমিরা ও সলিমপুর উভয় এলকার দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কুতুবপুরে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে রানা(৩০)ও নজরুল ইসলাম(৩৫)নামে দুই যুবক নিহত হয়। তাদের বাড়ি বরিশালে।

বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকামুখী মাইক্রোবাসকে একটি যাত্রীবাহী বাসা ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই ওই দুজন নিহত এবং আরও সাতজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সূত্র-ইউএনবি

আজকের বাজার/আথনূর রহমান