নাজেহালের আশংকায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ডিএসই ব্রোকারদের বিনিয়োগ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে চায়না স্টক এক্সচেঞ্জ কৌশলগত অংশীদার হওয়ার পর ডিএসই ব্রোকাররা যে টাকা পাওয়ার কথা ছিল, বেশিরভাগ ব্রোকারই তা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছে। প্রায় ২০০ ব্রোকারই তার টাকা পেয়েছেন। তবে অল্প কয়েকজন ছাড়া বেশিরভাগই সে টাকা বিনিয়োগে যেতে পারেন নি। কোন অ্যাকাউন্টে কিভাবে এসব বিনিয়োগ ও লেদদেন হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এনবিআরের কাছে নাজেহাল হতে হবে কীনা সে ধারণাও স্পষ্ট নয় বেশিরভাগের কাছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বার শ্যামল ইকুইটি ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজেদুল ইসলাম এসব কথা জানিয়েছেন। আজকের বাজার-এর সাথে একান্ত আলাপ চারিতায় এসব কথা উঠে আসে।

তার মতে, প্রাপ্ত টাকা দুভাবে ব্যবহার বা বিনিয়োগ হতে পারে। হয় ৫শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে বিনিয়োগ করা। অথবা ১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে শেয়ার বাজারের বাইরে বিনিয়োগ করা।

এখন ধরুন, যিনি ৫শতাংশ হারে ট্যাক্স দিয়ে আগামী তিন বছরের জন্য শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন। তাকে একটা ডেজিগনেটেড অ্যাকাউন্টে টাকাটা রাখার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে যে, কোন অ্যাকাউন্টে টাকাটা রাখা হবে? ডিএসই পুশ পুলের মাধ্যমে ব্রোকার বা ডিলারদের যে অ্যাকউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করে সেই অ্যকাউন্টে? না অন্য কোনো অ্যাকাউন্টে? এটা পরিষ্কার না আমাদের কাছে।

বোঝার সুবিধার্থে উল্লেখ করছি, ডিএসই’র প্রত্যেক ব্রোকার ও ডিলারের ডেজিগনেটেড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আছে। কেনা বেচার যেকোনো লেনদেনের টাকা ডিএসই ওই ডেজিগনেটেড অ্যকাউন্টে পুশ বা পুল করে থাকে।এটার জন্য ক্লিয়ারিং হাউজ সিস্টেম আছে। দিন শেষে তা সেটেলমেন্ট হয়ে যায়। এটাই আমাদের প্রচলিত সিস্টেম। এর জন্য আমাদের কোনোরকম হ্যাসেল ফেস করতে হয় না।

এখন যে সমস্যাটার সম্মুখীন আমরা হচ্ছি, তা হলো নতুন যে অ্যাকাউন্টের কথা বলা হচ্ছে, সেটার সাথে তো ডিএসই’র পুশ পুলের কোনো সম্পর্ক নেই বা ডিএসই সে সিস্টেম চালুও করতে পারছে না বা করছে না। তাহলে আমরা কোন অ্যাকাউন্টে লেনদেন করবো? যদি ডিলার কিংবা ব্রোকার অ্যকাউন্টে লেনদেন করি, তাহলে বছর শেষে এনবিআর যদি প্রশ্ন তোলে এ টাকার লেনদেন নিয়ে, তাহলে তা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। তবুও আমরা সংশয়ে আছি।

তাই আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিকে অনুরোধ করেছি এ বিষয়ে একটা লিখিত সার্কুলার দিতে, যাতে সকল বিষয় স্পষ্ট হয়। তাতে নিশ্চয় এনবিআর বা সংশ্লিষ্ট দফতরে উনারা কথা বলে নিবেন। আশা করছি খুব শিঘ্রই আমরা এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা পাবো।

এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে সংশয় কাজ করছে। সংশয় দুর হলেই দেখবেন বেশির ভাগ ব্রোকারই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন।