আবারও মায়ানমারের পক্ষে চীনের সাফাই

কোনো ইস্যুতে এক পক্ষ নিতে ভারত ও চীনকে খুবই কম দেখা যায়। তবে এবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুটি দেশই মায়ানমার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত মায়ানমার সরকারের পক্ষ নেয়ায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমশিনের কড়া সমালোচনার একদিন পর ১২ সেপ্টেম মঙ্গলবার চীন বলেছে, তারা ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের পাশে আছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেছেন, ‘মিয়ানমার সরকার তাদের জাতীয় উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার যে চেষ্টা করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত তার পাশে থাকা।’

সম্প্রতি মিয়ানমার সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রাখাইনে ‘উগ্রবাদী সহিংসতায়’ উদ্বেগ জানান মোদি। তবে তখন তিনি রাখাইনে সহিংসতার মুখে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নিয়ে কোনো কথা বলেননি।

এদিকে আগামীকাল ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশ রাশিয়ার অবস্থানও মায়ানমারের পক্ষে বলে মনে করা হচ্ছে। মায়ানমারের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব যদি ভোটাভুটিতে দেয়া হয়, তাহলে রাশিয়া তাতে কতটা সমর্থন দেবে, সেটা নিয়ে সংশয় আছে।

জাতিসংঘের কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রোহিঙ্গা সংকটে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ মাথা গলাক, সেটা চীন চায় না।

নিরাপত্তা পরিষদের আরেক স্থায়ী সদস্য অবশ্য রোহিঙ্গা সংকটের ব্যাপারে তাদের দীর্ঘ নীরবতা ভেঙেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সহিংসতার মুখে যেভাবে রোহিঙ্গারা তাদের বাড়িঘর ছাড়া হয়েছে তাতে বোঝা যায় মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেসামরিক মানুষকে নিরাপত্তা দিচ্ছে না।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদে গত সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকেও চীন মায়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি চৌকিতে হামলা করে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা। হামলার পর রাখাইনে সহিংস অভিযান শুরু করে দেশটির সেনা ও পুলিশ। অভিযানের মুখে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাখাইন থেকে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭