আ’লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন শুরু:সদস্যপদ নবায়ন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের সদস্যপদ নবায়ন করে এবং আর আরো দুজনকে সদস্য করে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন অভিযানের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ২০ মে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সংগঠনের বর্ধিত সভায় তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুঃখী মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে, যে পর্যন্ত না বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে দুঃখী মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এ দেশের প্রতিটি মানুষ অন্ন পাবে, আশ্রয় পাবে, উন্নত জীবন পাবে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব জাতির পিতার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করা। এদেশের দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে এবং জনগণকে সেই কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছানোর জন্য দেশকে সঠিক রাস্তায় পরচালিত করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। এটা বার বার প্রমাণিত যে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই কেবল দেশের উন্নতি হয়।

দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সভায় উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা পার্টিকে আরও স্ট্রংগার, আরও সুশৃঙ্খল এবং আরও স্মার্ট করব। স্মার্টার আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’

জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেও দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার বক্তব্যের পর ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। তারপর শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। সূচনা বক্তব্যের পর দলের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র উন্মোচন এবং নিজের সদস্যপদ নবায়ন করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সদস্যপদ নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি ২০ টাকা হলেও শেখ হাসিনা ৫০০ টাকা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শফিউল আলম ভূইয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা বেগমকে সদস্য করার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।
এরপর দলের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন শেখ হাসিনা।

প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এক ঘণ্টার অধিক সময়ের বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের শাসনামলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বিএনপির রাজনীতির নামে বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন। আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে জনসমর্থন আদায়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু হয়েছে, তা আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার কারণেই দেশের এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনে দলকে আবারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করে যেতে হবে।

সূত্র : বাসস

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/২০ মে ২০১৭