আল আকসা মসজিদে ইসরাইলী হামলার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, সমালোচনা

ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইসরাইলী পুলিশের তান্ডবে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ও উদ্বেগ তীব্ররূপ নিয়েছে।
ইসরাইলী বাহিনী বুধবার ভোরে মসজিদের ভেতরে থাকা শত শত মুসল্লির ওপর আকস্মিক হামলা চালায়। এ সময় মসজিদের ভেতরে ঢুকে মুসল্লিদের গ্রেফতার, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তারা। রমজানের রাতে ইবাদত করতে আসা সাড়ে তিনশরও বেশি ফিলিস্তিনীকে আটকও করে।
এ ঘটনা ফিলিস্তিনসহ বিশ্ব মসুলিমদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া বৈশ্বিক পর্যায়েও তৈরি করেছে উদ্বেগ।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস মসজিদের ভেতরের লোকজনকে ইসরাইলী বাহিনীর মারধরের ছবি দেখে বিস্মিত ও আতংকিত হয়েছেন বলে তার মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, অব্যাহত সহিংসতার কারনে তারা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন। তারা উভয়পক্ষের প্রতি আরো সহিসংতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ বলেছেন, আমরা পবিত্র স্থানগুলোতে লাল রেখা অতিক্রম করার বিরুদ্ধে দখলদারেেদর সতর্ক করছি, যা বড়ো ধরনের আশংকার জন্ম দিচ্ছে।
এছাড়া জর্ডান ও মিশর উভয় দেশ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে।
জার্মানী পরিস্থিতি শান্ত রাখতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে উভয়পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরবলীগ এ হামলার নিন্দা জানিয়ে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরাইলের সাথে ২০২০ সালে সম্পর্ক স্থাপনকারী সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কো কঠোর ভাষায় ইসরাইলী পুলিশের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে বুধবারের সহিংসতা নিয়ে ইসরাইলী বাহিনী দাবি করেছে, তারা মসজিদে প্রবেশ করলে তাদের দিকে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। এছাড়া মসজিদের ভেতর থেকে আতশবাজি ছোঁড়া হলে একজন ইসরাইলী পুলিশ আহত হয়।
এ প্রেক্ষিতে ইসরাইলের কট্টর ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গিভর পুলিশের দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপের জন্যে তাদের সমর্থন করেছেন।
তবে গাজা শাসনকারী ফিলিস্তিনি গ্রুপ হামাস আল আকসা রক্ষার জন্যে পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনীদের সেখানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা টায়ার পুড়িয় আল আকসা মসজিদ রক্ষার শপথ নিয়েছে।
আল আকসায় প্রথম দফার সংঘর্ষের পরই গাজা থেকে ইসরাইল লক্ষ্য করে অন্তত নয়টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। বুধবার দিনের শেষেও আরো দুটি রকেট ছোঁড়া হয় বলে ইসরাইল দাবি করেছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল হামাসের অস্ত্র তৈরির কারখানায় হামলা চালিয়েছে।