‘আসন’ নিয়ে মধুর সমস্যায় মেহেদি

জাতীয় দলের সঙ্গে প্রথম সকালটা দারুণ কেটেছে মেহেদি হাসানের। প্রথমবারের মতো প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মুগ্ধ জাতীয় দলের আবহে।

বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মেহেদি বলেন, “প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়ায় সকালটা খুবই রোমাঞ্চকর ছিল। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে ড্রেসিংরুম শেয়ারের অভিজ্ঞতা অন্যরকম ছিল।”

সেই অন্যরকমটা কেমন তার একটা চিত্র পাওয়া গেল মেহেদির কথায়। তাকে নিয়ে মজা করেছেন সতীর্থরা, সেটাও উপভোগ করেছেন এই তরুণ।

“সবাই সবার চেয়ারে বসে ছিল ড্রেসিংরুমে। আমি কোন সিটে বসবো, সেটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যেখানেই বসতে চাই, দেখি সেটা অন্য কারো সিট। এতে একটু নার্ভাস হয়ে যাচ্ছিলাম। দাঁড়িয়েই ছিলাম অনেকক্ষণ, সতীর্থরা বলছিল প্রথম প্রথম এমন হয়। ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে মেহেদি নজর কেড়েছেন অফ স্পিনে। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডে খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৭৭ রানের দারুণ ইনিংস। যেখানে সুযোগ পাবেন সেখানে নিজেকে মেলে ধরে জাতীয় দলে একটি জায়গা চাই মেহেদির।

চূড়ান্ত দলে থাকার ব্যাপারে অবশ্যই আশাবাদী। দলে যেই আসুক, সবাই নিজের সেরাটা দিতে চাইবে। আমার যদি শতভাগের বেশি দিতে হয় আমি তাও দিব।

অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি জাতীয় দলে। মাহমুদউল্লাহ অনেক দিন ধরে আছেন। আসা-যাওয়ার মাঝে আছেন নাসির হোসেন। চোট না থাকলে দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজের দলে জায়গা প্রায় পাকা। দেশের হয়ে খেলতে হলে কতটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে জানেন মেহেদি।

“আমি নিজেকে (পরিপূর্ণ) অলরাউন্ডারই মনে করি। যখন যেটা ভালো হয়, সেখানেই বেশি মনোযোগ দিই। কারণ, দুই বিভাগে একই সঙ্গে মনোযোগ দেওয়া কঠিন। তাই প্রথমে যেটা ভালো হবে, সেটাতেই মনোযোগী হওয়া ভালো।
আজকের বাজার: সালি / ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭