ইংল্যান্ডকে দেওয়া নিরাপত্তাই চায় অস্ট্রেলিয়া

২০১৬ সালের জুলাইয়ে গুলশানের হোলি আর্টিজান ক্যাফেতে সন্ত্রাসী হামলার মাত্র ৩ মাসের মাথায় ওডিআই এবং টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সে সময়ে এ দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় মুগ্ধ হয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল; বাংলাদেশ ছাড়ার আগে এদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসাও করেছেন ওই দলে থাকা বেশ কয়েকজন ইংলিশ ক্রিকেটার।

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের নিরাপত্তায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবস্থাপনার চিত্র বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছিল ইংলিশ সংবাদমাধ্যমেগুলোও বিভিন্নভাবে। এমনকি ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) নিরাপত্তা উপদেষ্টা রেগ ডিকাসন বারবার বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করেছিলেন।

সফরের আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণের জন্য এখন বাংলাদেশে আছেন শিন ক্যারল। তিনি বলেন, ইংল্যান্ড ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময় তাদেরকে দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাই চায় অস্ট্রেলিয়া।

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন শিন ক্যারল। অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন, আইজিপি শহীদুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও বৈঠক করবেন ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা।

ক্যারলের সবুজ সংকেতের ওপরই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর অনেকটা নির্ভর করছে। ওই সফরে দুইটি টেস্ট খেলার কথা অস্ট্রেলিয়ার। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত হওয়ার কথা বলেছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড। তবু নিরাপত্তার ব্যাপারে শতভাগ আশ্বস্ত হতেই ক্যারলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফরের সময়ই বাংলাদেশে এসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন ক্যারল। ঢাকা টেস্টের সময় মাঠে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার খুঁটি-নাটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন তিনি।

বিসিবি জানিয়েছে, কোরবানি ঈদের আগে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট এবং ঈদের পর ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট হবে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিসিবির প্রস্তাবিত সূচি এটি। ১-৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ২০০৬ সালে রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল। এরপর ১০ বছরের বেশি সময় পার হলেও টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের সামনের কাতারের দলটির বিপক্ষে আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি টাইগারদের।

২০১৫ সালের অক্টোবরে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে দুইটি টেস্ট খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু সেবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ইস্যু করে সে সফর বাতিল করে নেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

এরপর দেশের মাটিতে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। সে টুর্নামেন্ট থেকেও নিজেদের দল প্রত্যাহার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার উদাহরণ তৈরি করে বাংলাদেশ।

ওসব টুর্নামেন্ট এবং সিরিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দিয়ে বার বার অস্ট্র্রেলিয়াকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে আসছিল বিসিবি। অবশেষে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তবে ব্যস্ত সিডিউলের কারণে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে আসতে পারবে না বলে জানিয়েছিল নেতৃত্বস্থানীয় ক্রিকেট বোর্ডটি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৮ আগস্ট স্মিথবাহিনী বাংলাদেশে আসবে বলে জানানো হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৬ মে ২০১৭