ইফতারিতে রাখুন বেলের শরবত

গ্রীষ্মের ফল বেল । এর পুষ্টিগুণও অনেক। পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে- বেল বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন এবং ভিটামিন সি-তে ভরপুর। তাই রমজানের ইফতারে রাখা যেতে পারে বেলের শরবত।

চিনি খেতে না চাইলে একটু লবণ আর মরিচগুঁড়া বা পুদিনাপাতাসহ বেলের শরবতও খাওয়া যেতে পারে। এ শরবত যেমন মজার তেমনি পুষ্টিকর।
একেবারে খালি পেটে এ শরবত পান করা যাবে না। ইফতারিতে কিছু খেয়ে তারপর শরবত পান করতে হবে।

২৫০ মি.লি. লিটার বা এক গ্লাস বেলের শরবতে থাকে ১৪০ খেকে ১৫০ ক্যালরি। প্রতিদিন ইফতারে এক গ্লাস বেলের শরবত শরীর চাঙ্গা করার পাশাপাশি পুষ্টিও সরবরাহ করবে।

বেলের আঁশ ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হৃদরোগীদের জন্যও বেল আদর্শ ফল। আর ঘরে তৈরি বেলের শরবত পান করাই নিরাপদ।

বেলের শরবতের কিছু গুণ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:

বেলের শরবতের সবচাইতে সুপরিচিত গুণ সম্ভবত এটাই। ভোজ্য আঁশ ও ‘ল্যাক্সেটিভ’ উপাদানে ভরা এ ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

ওজন কমানো:

পুরো একটি বেলে প্রায় ১৪০ ক্যালরি থাকে যা ওজন নিয়ে চিন্তিতদের জন্য আদর্শ একটি ফল। শরীরচর্চার পর বেল বা এর শরবত ‘এনার্জি ড্রিংক’য়ের মতো কাজ করে। শরীরের পানিভিত্তিক ওজন কমাতেও বেল কার্যকর।

বিপাকীয় গতিবর্ধক:

প্রোটিন, বিটা-ক্যারোটিন, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন সি বিপাক ক্রিয়ার জন্য উপকারী উপাদান। যার সবগুলোই থাকে বেলে। গরমে যাদের অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে তাদের প্রতিদিন বেলের শরবত পান করা উচিত।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রক:

‘লিপিড প্রোফাইল’ ও ‘ট্রাইগ্লিসারাইডস’ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে বেল। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায় এই ফল।

প্রদাহরোধী:

অনেকেরই অতিরিক্ত গরমে পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। যা আসলে পাকস্থলিতে থাকা অম্ল আর মসলাদার খাবারের বিক্রিয়ার কারণে হয়। এ পরিস্থিতিতে বেলের শবরত অত্যন্ত উপকারী। এক গ্লাস ঠাণ্ডা বেলের শবরত পেট ঠাণ্ডা করবে, সারাবে পেটের প্রদাহ।

আজকের বাজার/লাবনী