ইরানের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ, উত্তেজনা তীব্র

TOPSHOT - Protesters display Iranian and Kurdish flags in a rally in support of the demonstrations in Iran, near the Victory Column (Siegessaeule) in Berlin, Germany on October 22, 2022. - Nationwide protests have erupted in Iran after the death of Mahsa Amini, an Iranian woman of Kurdish origin, who was arrested by the country's notorious "morality police" for an alleged breach of the Islamic republic's strict dress code for women. She died three days after falling into a coma following her arrest on September 16. Young women have led the charge, removing their headscarves, chanting anti-government slogans and confronting the security forces on the streets, despite a crackdown that rights groups say has killed at least 122 people. (Photo by John MACDOUGALL / AFP)

ইরানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক দমন পীড়নকে উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।
এদিকে মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন উপলক্ষে যে আয়োজন করা হচ্ছে তার প্রাক্কালে দেশটিতে উত্তেজনা তীব্র রূপ নিয়েছে।
‘একজন শিক্ষার্থী মরতে পারে, কিন্তু অপমান মেনে নিতে পারে না’ এই বলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজে শহীদ চামরান বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেয়।
ইরানে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কুর্দি তরুণি মাশা আমিনি (২২) তার ছোট ভাইকে নিয়ে তেহরান পরিদর্শনে গেলে সঠিকভাবে হিজাব না পরার কারনে নৈতিক পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর তিন দিন পর পুলিশী হেফাজতে সে মারা গেলে ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
গতমাসে মাশা আমিনির গ্রেফতারের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভের সম্মুখ সারিতে তরুণীরা এবং স্কুলের মেয়েরা অংশ নেয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, বুধবার মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিনের আয়োজন না করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তার পরিবারকে এবং একইসঙ্গে এইদিন কেউ যেন কুর্দিস্তানে তার কবরে না যায় সে বিষয়েও সতর্ক করেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার মাশা আমিনির মৃত্যুর ৪০ দিন পূর্ণ  হচ্ছে এবং ইরানে প্রথা অনুযায়ী এইদিন শোক পালনের সময় শেষ হচ্ছে।
এদিকে অনলাইন ভিডিওতে দেখা গেছে আহভাজের শহীদ চামরান বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও মঙ্গলবার তেহরানের বেহেশতি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খাজে নাসির তুসি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।