এক মুমিনুলেই কুপোকাত রংপুর

মুমিনুলকে বলা হয় টেস্ট স্পেশালিস্ট। টেস্টের জন্যই মুমিনুল সব চেয়ে উপযুক্ত বলে টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি! সেই মুমিনুলেই বিপিএল টি-টুয়েন্টি আসরে আজ শনিবারের ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে ৮ উইকেট ও ২০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষের রাজশাহীর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যক্তিগত ২৪ রান করেছিলেন মুমিনুল। রংপুরের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সুবিধা না করতে পারলেও আজ শনিবার রাজশাহীর দলীয় সংগ্রহে সব চেয়ে বেশি রান যোগ করেছেন মুমিনুল হক। আরেক ওপেনার লেন্ডল সিমন্সের সঙ্গে শক্ত জুটি বেঁধে ১২২ রান সংগ্রহ করেন মুমিনুল হক। ৪৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত মুমিনুল দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস। ওপেনার সিমন্স ৫৩ রানে ফেরার পর ক্রিজে আসেন ম্যালকম ওয়ালার। দলীয় সংগ্রহে মাত্র ৪ রান যোগ করেই থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়ালার। এরপর মুমিনুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন রনি তালুকদার। রনি ১০ রান এবং মুমিনুল ৬৩ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায়ই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী কিংস। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ম্যাচ সেরার মুকুটটিও জিতেছেন টেস্ট স্পেশালিস্ট খ্যাত মুমিনুল হক।

আজ শনিবার বিপিএলের ঢাকা পর্বের শুরুর দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রংপুরের দলটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪রান সংগ্রহ করেছে রংপুর রাইডার্স।

টস জিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওপেনিংয়ে নামে জেসন চার্লস এবং অ্যাডাম লিথ। তবে শুরুতেই মেহেদি হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন চার্লস। দলীয় ৩ রান এবং ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানের মাথায় মেহেদির বলে ওয়ালারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

চার্লস ফেরার পর মোহাম্মদ মিঠুন। অ্যাডাম লিথের সঙ্গে মিঠুনের জুটি গড়া হয়নি। দলীয় ৩২ রান এবং নিজের ৪ রানের মাথায় ফরহাদ রেজ্রা বলে মেহেদির তালুবন্দি হয়ে ফেরেন লিথ। এরপর ক্রিজে আসেন রবি বোপারা। কিন্তু তাকে ক্রিজে রেেেখই বিদায় হন মিঠুন। দলের ৩৩ রান এবং ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায় ফরহাদ রেজার বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিঠুন।

মিঠুন ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন শাহরিয়ার নাফিস। বোপারার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে দলের ৮২ রান এবং ব্যক্তিগত ২৩ রানের মাথায় কেসরিক উইলিয়ামসের বলে ওয়ালারের হাতে ধরা পড়েন নাফিস। এরপর ক্রিজে আসেন থিসারা পেরেরা। দলীয় ৯৪ এবং নিজের মাত্র ৪ রানের মাথায় মুমিনুলের তালুবন্দি হন পেরেরা।

পেরেরা ফেরার পর রবি বোপেরাকে সঙ্গ দিতে আসেন জিয়াউর রহমান। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে বোপারা এবং ১১ রানে জিয়াউর রহমান অপরপাজিত থাকা অবস্থায় নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায়।

সুত্র: অর্থসূচক
আজকের বাজার: সালি / ১১ নভেম্বর ২০১৭