এফবিসিসিআই’র নির্বাচনী কার্যক্রম চলবে : চেম্বার জজ

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন-এফবিসিসিআই’র নির্বাচনী কার্যক্রম আপাতত চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। সংগঠনটির সভাপতির পক্ষে করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ মার্চ দিন নির্ধারণ করে তা আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। পরে এফবিসিসিআইর আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম বলেন, যেহেতু নির্বাচন ১৪ মে নির্বাচনের দিন ধার্য রয়েছে। তাই নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালাতে কোন বাধা নেই। তবে এ বিষয়ে ২৭ মার্চ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে চূড়ান্ত শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত হবে।

এর আগে বুধবার (২২ মার্চ) দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতির এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দেন। আগামী ১৪ মে এই নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ থেকে পরিচালক মনোনয়ন করতে হবে। কিন্তু নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে কোন পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

এই বাদ পড়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন ময়মনসিংহ চেম্বারের সভাপতি আমিনুল হক। তখন এই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত রুল জারি করেন। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে পরিচালক নিয়োগে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।

এরমধ্যেই এফবিসিসিআই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন স্থগিতে হাইকোর্টে আরেকটি সম্পূরক আবেদন করা হয়। সে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বুধবার (২২ মার্চ) নির্বাচন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী সংগঠনটির পরিচালক পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিলের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ১৪ মের ভোটে নির্বাচিত পরিচালকরা ১৬ মে অনুষ্ঠিত পর্ষদের বৈঠকে সভাপতি, প্রথম সহ-সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।