এবারও অপ্রতিরোধ্য লাবুশেইনির ডাবল সেঞ্চুরি

ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল শূন্য দিয়ে। গত বছর দুইবাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন মাত্র ১৩ রানের ইনিংস। পরের টেস্টেও ভালো কিছু করতে পারলেন না। ২৫ ও ৪৩ রানের দুটি ইনিংস খেললেন তিনি।

প্রথম হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেলেন চতুর্থ টেস্টে এসে। ব্রিসবেনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে খেলেছিলেন ৮১ রানের ইনিংস। ব্যাটিংয়ে সেই যে তাগড়া ঘোড়া ছুটিয়ে দিয়েছেন মার্নাস লাবুশানে, সেটা চলছে তো চলছেই। বরং, দিনে দিনে যেন আর গতি বাড়ছে।

তবে, তিন অংকের দেখা পেতে লাবুশানেকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০ম টেস্ট পর্যন্ত। ঘরের মাঠে, প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া সেই ব্রিসবেনেই পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। আউট হয়ে যান ১৮৫ রান করে।

এরপর কেটে গেছে আরও তিনটি টেস্ট। টানা তিনটি সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই ১৮৫ রানই ছিল সেরা। এরপর বাকি দুই সেঞ্চুরিও ছিল বিগ স্কোরের। একটা ১৬২, অন্যটা ১৪৩ রানের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মেলবোর্নে খেলেছিলেন ৬৩ রানের ইনিংস।

সিডনিতে এসে আবারও দেখা পেলেন সেঞ্চুরির। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিন তিনি সেঞ্চুরি করেই থেমে যাননি। ১৩০ রানে ছিলেন অপরাজিত। লাবুশানের কাছে মনে হচ্ছিল যেন, ‘এবার আর থামতে চাই না। যে করেই হোক, নিজের সেরাটাকে ছাড়িয়ে যেতে হবে।’

ব্যক্তিগত প্রতিজ্ঞাই বড় শক্তি। সেই শক্তিতে বলিয়ান হয়েই সিডনি টেস্টের দ্বিতীয়দিন সেঞ্চুরিটাকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করে ছাড়েন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের নতুন সেনসেশন।

৩৬৩ বল খেলে টস অ্যাসলের হাতে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্নাস লাবুশানে। রান করেছেন ২১৫। মাত্র ১৩ টেস্টের ক্যারিয়ারে এখন এটাই তার সেরা। বাউন্ডারি মেরেছেন ১৯টি এবং ছক্কা মেরেছেন ১টি।

আজকের বাজার/আরিফ