এবার ভিন্ন লুকে চুলের ট্যাটু

ট্যাটু নিয়ে সেই প্রাচীনকাল থেকেই নানা ধরনের কাজ হয়ে আসছে। আগে আদিমযুগে মানুষ যখন বন জঙ্গলে বাস করতো তখন থেকেই তাদের মাঝে ট্যাটু আঁকার প্রচলন শুরু হয়। তখন তারা কিন্তু আজকের মতো ফ্যাশন করার জন্য ট্যাটু আঁকতেন না। তখন ট্যাটু আঁকার অনেকগুলো কারণ ছিল। কখনো তাদের গোত্রকে আলাদাভাবে চেনার জন্য, কখনো গোত্র প্রধান, কখনো বা কোনো সাহসী কাজের জন্য আবার কখনো কোনো অন্যায়ের জন্য গায়ে ট্যাটু আঁকা হত।

তারপর ট্যাটু চলে আসলো হাল ফ্যাশনে। গায়ে, হাতে, মাথায় এমন কি জ্বিব ও চোখেও ট্যাটু করা থেকে বাদ যায়নি। এবার এই সূত্র ধরে ট্যাটু উঠে এসেছে মাথায়। অর্থাৎ মাথার চুলে করা হচ্ছে ট্যাটুর ডিজাইন।

তবে এই ট্যাটু সুচ আর রঙ দিয়ে করা হয় না। করা হয় চুল কেটে। মাথার চুল এমনভাবে নকশা করে কাটা হয় যা দেখতে একদম চামড়ায় বসানো ট্যাটুর নকশার মোতোই মনে হয়।

চুলের ট্যাটুর নকশা সমানতালে সবাই করে যাচ্ছে। পুরুষ ও বাচ্চারা তো আছেই পিছিয়ে নেই নারীরাও। নারীরা তাদের ছোট চুলে নানা নকশা তো তুলছেনই সাথে বড় চুলের আড়ালে রাখা ফাঁকা যায়গায় করছেন সুন্দর ডিজাইন।

আবার আপনি চাইলে চুলের ট্যাটু করার সময় চুলে নানা ধরনের হেয়ার কালার ব্যবহার করতে পারেবন। এতে আপনার মাথা ও চুলে ভিন্ন লুক আসতে পারে।

আজকের বাজার/এএল