নতুন মশুমের জন্য আইপিএলের ক্রিকেটার কেনাবেচার আসর বসবে কলকাতায়। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পরবর্তী আইপিএল নিলাম অনুষ্ঠিত হবে শহরে। বিসিসিআই-এর তরফে কলকাতাকে বেছে নেওয়া হয়েছে আইপিএল অকশনের নতুন কেন্দ্র হিসেবে। বিগত মশুমগুলিতে বেশিরভাগ সময় আইপিএল নিলামের আসর বসেছে বেঙ্গালুরুতে।
যদিও এ বছর আইপিএলের নিলামে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজিই দল ঢেলে সাজানোর রাস্তায় হাঁটবে না। বরং সীমিত পরিমাণ যে অর্থ পড়ে রয়েছে পার্সে, তা ব্যবহার করেই স্কোয়াডের ফাঁক-ফোকর ঢাকার চেষ্টা করা করবে সবাই। পরের বছর আইপিএল নিলাম ব্যাপক আকার ধারণ করবে নিশ্চিত। কেননা আসন্ন মশুমের পরেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে ছেড়ে দিতে হবে দলের সব ক্রিকেটারকে। তখন নতুন করে নিলামে দল সাজাতে হবে সবাইকে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শেষবার পূর্ণাঙ্গ আইপিএল নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পাঁচ জন করে ক্রিকেটারকে ধরে রেখে প্রায় গোটা স্কোয়াডকেই নতুন করে সাজিয়ে ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।
এবছর আইপিএলের শেষ ট্রেড উইন্ডো বন্ধ হচ্ছে আগামী ১৪ নভেম্বর। ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে ডেডলাইন সম্পর্কে অবগত করা হয়েছে বিসিসিআই-এর তরফে। এই সময়ের মধ্যে পারস্পরিক ভিত্তিতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি নিজেদের মধ্যে ক্রিকেটের বিনিময় করতে পারে। তার পর নতুন করে কোনও ক্রিকেটারকে দলে নিতে হলে তা নিলামে থেকেই তুলে নিতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকে।
প্রাথমিকভাবে ফ্রাঞ্চাইজিগুলিকে নিলামে খরচের জন্য ৮৫ কোটি টাকার ঊর্ধ্ব সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে ৩ কোটি টাকা বাড়তি খরচের অনুমতি ছিল। গত মরশুমে দল সাজানোর পর এই মুহূর্তে আটটি ফ্রেঞ্চাইজির হাতে অল্প পরিমাণ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে। সবথেকে বেশি ৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের হাতে। রাজস্থান রয়্যালসের হাতে রয়েছে ৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পার্সে রয়েছে ৬ কোটি ৫ লক্ষ টাকা।
এছাড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হাতে রয়েছে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা। কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে রয়েছে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে অবশিষ্ট রয়েছে ৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিলামে মাত্র ৩ কোটি ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে রয়েছে সবথেকে কম ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।
আজকের বাজার/লুৎফর রহমান