কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া বন্ধ টানা ৪ দিন, চাপে পাটুরিয়া

নাব্য সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুটে টানা চারদিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা পড়েছে অসহনীয় ভোগান্তিতে। তবে নাব্য সংকট কাটাতে একাধিক খননযন্ত্র ব্যবহার করা করা হচ্ছে।

এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের সড়কে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে ৪ শতাধিক কাভার্ড ভ্যান, পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন।

শনিবার সন্ধ্যায় খনন কাজ শেষ হলে ফের ফেরি চলাচল করতে পারবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘ভরা মৌসুমে প্রচুর পলি এসে জমা হয়েছে। এখন পানি কমতে শুরু করেছে। এজন্য ছোট বড় ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। নৌপথের গুরুত্বপূর্ণ দুটি চ্যানেলে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। নৌপথটির বিভিন্ন স্থানে পলি অপসারণের কাজে ব্যবহার হচ্ছে আটটি শক্তিশালী খননযন্ত্র।’

কাঁঠালবাড়ি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে এই নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৯টি ফেরি চলাচল করে। নাব্যতা–সংকট থাকায় বর্তমানে দুটি ঘাটেই ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়েছে।’

এদিকে নাব্য এই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে।

মানিকগঞ্জ ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, চারদিন ধরে নাব্য সংকটের কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। ঘাটের উভয়পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ছোটবড় শতশত যানবাহন।’

এতে বিপাকে পড়েছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। যাত্রীবাহী বাস, অ্যাম্বুলেন্স ও পচনশীল পণ্যের ট্রাককে অগ্রাধিকার দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি ও ২১টি লঞ্চ চলাচল করছে।