কুমিল্লায় ৩৬১টি হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হচ্ছে

জেলার ৩৬১টি হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব হাট চলবে। তবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাটের বিকল্প হিসেবে অনলাইনেও ব্যবস্থা করা হয়েছে পশু ক্রয়-বিক্রয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলা এলাকায় ১৮টি, সদর দক্ষিণে ২১টি, লালমাইয়ে একটি, বরুড়ায় ৩৮টি, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১৮টি, নাঙ্গলকোটে ৩০টি, মনোহরগঞ্জে ২১টি, দেবিদ্বারে ৩০টি, চৌদ্দগ্রামে ৩২টি, লাকসামে ২১টি, দাউদকান্দিতে ২১টি, তিতাসে ১৪টি, হোমনায় ১৮টি, বুড়িচংয়ে ২৩টি, চান্দিনায় ১৫টি, মুরাদনগরে ৩৩টি, মেঘনায় ০৭টি স্থানে বসছে কোরবানীর পশুর হাট। ৩৭৮টি কোরবানীর পশুর হাটের মধ্যে স্থায়ী হাট রয়েছে ৩৮টি এবং কোরবানী উপলক্ষে অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে ৩৪০টি।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে ইজারাদারদের দূরত্ব বজায় রেখে পশুর হাট বসানোর নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন থেকে। কুমিল্লা জেলায় এ বছর খামারী ও কৃষকরা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৪টি পশু পালন করেছেন। কুমিল্লা জেলায় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩০২টি। কুমিল্লায় কোরবানীর পশুর সংকট পরবে না বলে আশাবাদী প্রশাসন। মানুষের জনসমাগম কমাতে কোরবানীর পশু বিক্রি করার জন্য অ্যাপস চালু করেছে জেলা প্রশাসন। তবে হাটে জনসমাগম হ্রাস এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়িয়ে কীভাবে হাটে ক্রয়-বিক্রয় চলবে জেলা প্রশাসন ইজারাদারদের সেই নির্দেশনাও ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বাসসকে জানান, কুমিল্লায় কোরবানীর পশুর পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। করোনা দুর্যোগের কারণে হাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন। বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পশু ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অ্যাপস চালু করা হয়েছে। অ্যাপসে পশুর সম্পর্কিত সকল ডেটা সংরক্ষণ রয়েছে। তাই ইচ্ছে করলে পশুর হাটে না গিয়েও ঘরে থেকে পশু ক্রয় করা যাবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বাসসকে বলেন, খামারি ও কৃষকরা ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৪টি পশু পালন করেছেন। কুমিল্লা জেলায় চাহিদা রয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩০২টি। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় ৩৮ লাখ টাকার পশু অনলাইনে কেনাবেচা হয়েছে।

হাটের নিরাপত্তার বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বাসসকে বলেন, সবগুলো হাটে পুলিশি নজরদারি থাকবে। হাটে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান