ঘরের ভেতরই করতে পারেন শখের বাগান

ঘরের বারান্দা বা ঘরের ভেতর যেখানে পর্যাপ্ত আলো আসে সেখানেই করতে পারেন বাগান। আর তার জন্য কয়েকটি বিষয়  মনে রাখতে হবে।

১. ঘরের যেখানে পর্যাপ্ত আলো আসে সেখানে বাগান করুন। সাধারণত সবুজ গাছ, (যাতে ফুল হয় না) যেগুলো অর্ধেক দিন আলো পেলে ভালো থাকে। আলোর পাশাপাশি গাছের জন্ম ও বৃদ্ধি নির্ভর করে তাপ ও বাতাসের আর্দ্রতার ওপর। ঘরে বাগানের জন্য ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা আদর্শ। আর ৩০ শতাংশের বেশি আর্দ্রতা প্রয়োজন।

২. বারান্দা, লিভিং রুম, ফ্যামিলি লিভিং এমনকি খাবার ঘরেও বাগান করতে পারেন। তবে যে ঘরেই বাগান করুন খেয়াল রাখুন যেন সেখানে প্রাকৃতিক আলো-বাতাস চলাচল করে। এয়ারকন্ডিশন দেয়া ঘরে বাগান করা যাবে না। ফ্যানের বাতাস যেন সরাসরি গাছে না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

৩. বৈরী আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পারে এমন গাছ ঘরের বাগানের জন্য বাছাই করতে হবে। যেমন- ফার্ন জাতীয় কিংবা ডেসিনা গ্রুপের উদ্ভিদ। ডেসিনা গ্রুপের মধ্যে আছে গোল্ডেন ডেসিনা, বিরাগ ডেসিনা, বাঁশপাতা, অগ্নিসর, কলকি ইত্যাদি।

এ ছাড়া আফ্রিকান ভায়োলেট, রাবার প্লান্ট, বাগানবিলাস, অ্যাসপারাগাস, অ্যালোভেরা, ক্রিস্টাল ফার্ন, গাবপাতা, মেরেন্তা উল্লেখযোগ্য।

৪. ঝুলন্ত ইনডোর প্লান্টের মধ্যে আছে বিভিন্ন ধরনের অর্কিড। যেমন- ডেন্ডোরিয়ম, মোক্কারা, অনসিডিয়াম, ক্যাটালগ। এ ছাড়া গ্রিনলিফ, ক্যাকটাস, আইল্যান্ড স্টার, মানিপ্লান্ট অন্দরসজ্জার জন্য ভালো।

পাতাবাহার বা ক্যাকটাস গাছের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি আছে। এসব গাছ ঘরের অন্ধকার পরিবেশেও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে।

৫. ঘরে বাগান করার দু’টি পদ্ধতির একটি হলো টবে লাগানো গাছ দিয়ে বাগান করা। আর অন্যটি মেঝেতেই গাছ লাগানো। এ জন্য প্রথমে মেঝের টাইলস বা মোজাইক তুলে মোটা পলিথিন বিছিয়ে দিন। এই পলিথিনের ওপরে বালু ও মাটির স্তর দিয়ে তাতে গাছ লাগান। চারপাশে ইট দিয়ে বর্ডার দিন।

৬. বসার বা খাবার ঘরে বনসাই, বেডরুমে লম্বা পাতাযুক্ত পাতাবাহার জাতীয় গাছ রাখুন। পাতাবাহার ছোট গ্লাসে পানিসহ রাখতে পারেন। পানিতে অনেক দিন থাকে। ডাইনিং স্পেসের পাশের বেসিনের দেয়ালে ঝুলন্ত গাছ মানায়। বাথরুমের জানালায় রাখুন মানি প্লান্ট। আর এক্সসেরিজ রাখার র‌্যাক ও বেসিনের পাশে খুব ছোট টবে ক্যাকটাস।

এসএম/