চট্টগ্রাম বন্দরে ৫৯ কনটেইনার খাদ্য পণ্য ধ্বংস মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা খাদ্য পন্য আবারো ধ্বংস করার কার্যক্রম শুরু করবে চট্টগ্রাম কাস্টমস। মঙ্গলবার ২৬ ডিসেম্বর ৫ দিনব্যাপি এ কার্যক্রম শুরু হবে। ৫৯ কনটেইনারের নষ্ট ফল, আদা ও রসুন ধ্বংস করা হবে এবারের কার্যক্রমে।

কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ৮৯টি কনটেইনার ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকার বিজয় নগরে গর্ত খুঁড়ে ২ দিনে ৩০ কনটেইনার নষ্ট পণ্য পুঁতে ফেলা হয়। এ সময় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে ধ্বংস কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

এ পরিস্থিতিতে হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় সিটি করপোরেশনের জায়গায় নষ্ট পণ্যগুলো ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় কাস্টমস।

কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মিয়া মো.নাজমুল হক জানান, টানা ৫ দিন ধরে ৫৯ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জাহাজ কোম্পানিগুলো পণ্য ধ্বংসের পর খালি হয়ে যাওয়া কনটেইনারগুলো ব্যবহার করতে পারবে। বন্দর কর্তৃপক্ষও বন্দরের খালি জায়গায় সংরক্ষণ করতে পারবে কনটেইনারগুলো।

২০১০ সাল থেকে এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে এসব নষ্ট হয়ে যাওয়া পণ্য আমদানি করা হয়। পণ্য আমদানির পর ব্যবসায়ীরা নানা কারণে তা খালাস না নেওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিক্রির জন্য তা নিলামে তোলে। কিন্তু নিলামেও পণ্যগুলো বিক্রি হয়নি। পরে নষ্ট হয়ে গেলেও দীর্ঘ সময় তা ধ্বংস করা হয়নি।

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস না নিলে আমদানির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। যেমন আমদানি-প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বন্দরে আসা পর্যন্ত পণ্যের দামের পুরোটা বা আংশিক বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয় ব্যবসায়ীকে।

কিন্তু পণ্য আসার পর ব্যবসায়ী তা খালাস না করলে নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করে কাস্টমস। নিলামে বিক্রি না হলে রাজস্ব হারায় কাস্টমস। আবার ওই ব্যবসায়ী পণ্য খালাস না নেওয়ায় তার কাছ থেকেও শুল্ক কর পায় না। বন্দর কর্তৃপক্ষও কনটেইনার রাখার ভাড়া পায় না। কনটেইনারের মালিকপক্ষও কনটেইনার ভাড়ার কাজে ব্যবহার করতে পারে না।

কনটেইনার বন্দরে পড়ে থাকলেও ক্ষতিপূরণও আদায় করতে পারে না আমদানিকারকের কাছ থেকে।

আজকের বাজার: এলকে/ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭