চিকিৎসকের বাসা থেকে বিপুল অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

অস্ত্র ও গুলি রাখার দায়ে এক চিকিৎসক ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭জুন) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিং করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানান ।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১৬২২টি গুলি উদ্ধার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকের নাম জাহিদুল আলম কাদির ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আক্তার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাহিদুল আলমের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সন্ত্রাসী এবং পেশাদার খুনিদের সখ্যতা ছিল।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৫ মে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে জাহিদুল আলমকে দুটি পিস্তল এবং ৮টি গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্র আইনে করা মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।

তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জুন গাবতলী এলাকা থেকে তাঁর স্ত্রী মাসুমা আক্তারকে একটি বিদেশি পিস্তল ও চারটি গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে  মাছুমা পুলিশকে জানান, তার স্বামীর কাছে আরও অবৈধ বিদেশি অস্ত্র আছে। এরপর জাহিদুলকে আবারও রিমান্ডে নেওয়া হয়।

পুলিশ কমিশনার জানান, জাহিদুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে  বৃহস্পতিবার  ময়মনসিংহ জেলার বাঘমারা এলাকায়  জাহিদুলের ফ্ল্যাট থেকে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৬১০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ কমিশনার আরও জানান, জাহিদুল আলম ২০০২ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

তবে তিনি সরকারি বা স্থায়ী কোনো চাকরি করতেন না। তিনি গ্রামের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চাকরি করতেন। মূলত তিনি চিকিৎসা পেশার অন্তরালে বিভিন্ন উৎস থেকে অবৈধভাবে লাইসেন্সবিহীন বিদেশি অস্ত্র সংগ্রহ করে বেশি দামে বিক্রি করতেন।

আজকের বাজার/এসএম