জাবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষক সমাজের ধর্মঘটের ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে অ্যাক্ট-১৯৭৩, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত শিক্ষক ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। সোমবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম গত ১১ এপ্রিল অফিস সময়ের পরে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে নয়জন প্রাধ্যক্ষকে অব্যহতি দিয়েছেন, যা নজিরবিহীন, অ্যাক্টবিরোধী ও শিষ্টাচার বহির্ভূত।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ২২ নং বিধি অনুসারে প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ ও অব্যহতি দেয়ার ক্ষমতা কেবল সিন্ডিকেটের রয়েছে। কিন্তু উপাচার্য এই নিয়ম ভঙ্গঁ করে নয়জন প্রাধ্যক্ষকে অব্যহতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ২২(গ) বিধি অনুসারে প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্য মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তাঁদের দাবি, এই বিধি ভঙ্গঁ করে ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহেদুর রশিদ কে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “তাদের সবারই মেয়াদ শেষ হয়েছিল তাই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, “যাদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের সকলের অনেক আগেই মেয়াদ শেষ হয়েছিলো। নতুন প্রাধ্যক্ষদের বিধি মোতাবেক নিয়ম মেনেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”

নাম না প্রকাশ করার সর্তে একটি সূত্র জানায়, এর আগে ২০০৯ সালে উপাচার্য ড. শরীফ এনামুল কবিরের সময় হল প্রাধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিন্ডিকেট সদস্য সহ প্রায় ৮জন হল প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এছাড়া বর্তমান উপাচার্যের প্রথম মেয়াদে থাকাকালীন সময় ২০১৪ সালে ১টি হল ব্যতীত সকল হল প্রাধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেন।

নাঈম/আরএম