জিম্বাবুয়ের চাওয়া শ্রীলঙ্কা হারুক বড় ব্যাবধানে!

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিলো না জিম্বাবুয়ের। ২১৭ রানের। তবে উইকেট অনুযায়ী এ রানও যে বেশ কঠিন তা বোঝা গিয়েছিল ইনিংস বিরতিতে সাকিব আল হাসানের কথা শুনে। তারপরও এ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৯১ রানের বিশাল হারটি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না জিম্বাবুয়ে শিবির। নিদেনপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন দলের অন্যতম সেরা পেসার কাইল জার্ভিস। তা করতে না পারায় রান রেট বেশ নিচের দিকেই চলে গিয়েছে জিম্বাবুয়ের। এখন বাংলাদেশই তাদের ভরসা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টাইগারদের বড় জয় কামনা করছে দলটি।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বাংলাদেশের কাছে দ্বিতীয় দফায়ও বড় হার মানতে বাধ্য হয় জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচেও তারা হেরেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। তবে সেদিন আগে ব্যাট করে মাত্র ১৭০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছিলো। কিন্তু এদিনের পরিস্থিতি ছিলো ভিন্ন। তবে সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে দলটি। তাই বাধ্য হয়েই বাংলাদেশে কৃপার আশা করছেন জার্ভিস, ‘এই হারে আমাদের রান রেটটা অনেক কমিয়ে দেবে। আশা করি বাংলাদেশ পরের ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে আমাদের সুবিধা করে দিবে। যদিও আমরা চাইনি আমাদের ভাগ্য অন্যের হাতে থাকুক। এটা আমাদের নিজেদেরই করা উচিৎ ছিলো। আমরা বাংলাদেশকে পরের ম্যাচের জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি।’

এদিন বাংলাদেশকে ২১৬ রানে আটকে রেখে শুরুটা বেশ ভালো করেছিলো জিম্বাবুয়ে। আর এমন শুরুর পরে স্বাভাবিকভাবেও জয় প্রত্যাশা ছিলো দলটির। কিন্তু শুরুতে ৩টি উইকেট হারিয়েই কাজটা কঠিন হয়ে গেছে বলে মনে করেন জার্ভিস, ‘আমি খুবই হতাশ। আমার মনে হয় শেষের আগে আমরা ফিল্ডিংয়ে খুবই ভালো ছিলাম। আমার মনে হয়েছিলো ২১৭ রান তাড়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে। ভেবেছিলাম খুব ভালো অবস্থানেই আছি। তবে শুরুতেই যদি ৩টি উইকেট হারিয়ে ফেলেন তাহলে এটা খুব কঠিন হয়ে যায় বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো বিশ্বমানের বোলারদের বিপক্ষে।’

জিততে না পারলেও হারের ব্যবধানটা কম হওয়া উচিৎ ছিলো বলে মনে করেন জার্ভিস। সাকিব ও তামিমের মতো ব্যাটিং চেয়েছিলেন তিনি। আর তা হলে ফাইনালে খেলার সুযোগটা আরও বেশি থাকতো বলে মনে করেন এ পেসার, ‘ব্যাটসম্যানদের উইকেট ছিলো। যেভাবে সাকিব এবং তামিম ব্যাটিং করেছে তাতে তারা ভালো স্কোর পেয়েছে। মাটিতে রেখে খেলেছে। আমাদেরও এমন কিছু দরকার ছিলো। আমাদের দুই তিন ব্যাটসম্যান এভাবে খেললে আমাদেরও সুযোগ থাকতো। আমরা সুযোগ হারিয়েছি। আমাদের আরও কিছু রান করা উচিৎ ছিলো। ১২৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিলো না।’

বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ ম্যাচ। আগেই ফাইনালে চলে গেছে বাংলাদেশ। এখন তাই ফাইনালে খেলতে শ্রীলঙ্কার অমঙ্গল কামনা করা ছাড়া কিছু বেঁচে নেই জিম্বাবুয়ের হাতে। খাতা-কলমের হিসেবেই কেবল বেঁচে আছে শনিবারের ফাইনালে তাদেরও খেলার সম্ভাবনা।

আজকের বাজার: সালি / ২৩ জানুয়ারি ২০১৮