জয়পুরহাটের গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গৃহবধূ আরতি রানীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার, দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন, দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন, দেওড়া সাখিদারপাড়ার ফেরদৌস আলী, দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান, জগতি গ্রামের রুহুল আমীন ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান।

জয়পুরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী জানান, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া আশ্রয়ণকেন্দ্রের বাসিন্দা উজ্জ্বল মহন্তের স্ত্রী আরতি রানীকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর আসামিরা গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতি রানী মারা যান। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতির স্বামী উজ্জ্বল ওই সাতজনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সব আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এবং অন্যদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ দেন।

সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জয়পুরহাট জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী এবং বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামসহ আরো পাঁচ আইনজীবী।

আজকের বাজার/এমএইচ