লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য হত্যা হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, গ্রেফতার ২

লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরন হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দু’আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পাশাপাশি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ৪টি অস্ত্র, ২৬ রাউন্ড কার্তুজ, ২টি স্ট্রেসার লাইট, নম্বরবিহীন ১টি সিএনজি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জামাল হোসেন ও মো. জসিম উদ্দিন।
জামাল হোসেন সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের নাছিরপুর গ্রামের মো. নুর নবীর ছেলে এবং জসিম উদ্দিন একই ইউনিয়নের চরচামিতা গ্রামের মুনছুর আহমদের ছেলে।

পুলিশ সুপার গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, গতকাল সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে মিরন মেম্বার হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি মো. জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে গত ১১ অক্টোবর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চালক জামালকে আটক করে পুলিশ। জামালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকান্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। জসিমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে নিয়ে সোমবার বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ির কাচারী ঘরের ভিটির নিচে লুকিয়ে রাখা বস্তা ভর্তি অবস্থায় অস্ত্র ও গুলিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে জসিম অস্ত্র গুলো মিরন মেম্বার হত্যাকান্ডে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকান্ডে জসিম ও জনৈক লোকমান এবং সিএনজি চালক জামালসহ আরো ১ জন জড়িত ছিল বলে জানায়।
এছাড়াও এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হয়।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ইউপি সদস্য মিরনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান