তুলসী পাতার গুনাগুণ

আমরা জানি তুলসী পাতা ঠান্ডা নিরাময়ে বিশেষ ভুমিকা পালন করে।এ ছাড়া তুলসী পাতার যে আরও অনেক গোপনীয় গুণ আছে তা আমাদের জানা নেই। চলুন তুলসী পাতার কিছু গুনাগুণ জেনে নেই।

লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়া শুরু করলে লিভারের ভেতরে জমতে থাকা নানা ‘টক্সিক’ উপাদান বেরিয়ে যেতে থাকে। ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে লিভারসংক্রান্ত রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

পাকস্থলীর রোগ কমায়

গত কয়েক বছরে গ্যাস্ট্রিক, আলসার ইত্যাদি রোগের প্রকোপ অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আর তুলসী এসব রোগ সারাতে দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন এক চামচ তুলসীর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে পেটের নানা রকমের রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে

নানা ধরনের ছোট-বড় চোখের রোগ সারাতে তুলসী পাতার বিকল্প নেই বললেই চলে। ভিটামিন ‘এ’ কম থাকায় চোখের যেসব রোগ হয়, সেগুলোর প্রকোপ কমাতে দারুণ কাজে আসে তুলসী পাতা।

ত্বকের সৌন্দর্য

নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে অথবা তুলসী পাতার পেস্ট মুখে লাগালে রক্ত এত মাত্রায় পরিশুদ্ধ হয় যে ত্বকে ইনফেকশনের আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে নানা রকম ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে না। তুলসী পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান এ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

ক্যান্সার দূরে রাখে

প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক প্রপার্টিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় তুলসী পাতা খেলে ক্যান্সার রোগও দূরে থাকে। একাধিক গবেষণা অনুসারে, রোজ তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে ব্রেস্ট ও ওরাল ক্যান্সার কমতে শুরু করে।

ওজন কমায়

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করলে দেহের অতিরিক্ত মেদ দূর হতে সময় লাগে না। তাই চটজলদি ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

ফুসফুসের ক্ষমতা

তুলসী পাতায় উপস্থিত ক্যাম্পেইনে, ইগোয়েনাল ও সিনেওল নামক উপাদান ফুসফুসসংক্রান্ত রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আজকের বাজার/আরজেড