থানকুনি পাতার ঔষধি গুণ

আদিকাল থেকেই থানকুনি পাতার ব্যবহার করে আসছে মানুষ। এই পাতার রয়েছে কিছু ওষধি গুণ। এ পাতার ব্যবহারে অনেক রোগ থেকে উপশম সম্ভব। আসুন জেনে নিই কী কী গুণ রয়েছে থানকুনি পাতার।

হজম শক্তি

হজম শক্তি বাড়াতে পারে থানকুনি পাতা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে।

অ্যাসিডিটি

পেটের সমস্যা লেগেই থাকে? নিয়মিত থানকুনি পাতা খান, দূর হবে পেটের সমস্যা। এছাড়া অ্যাসিডিটি দূর করতেও জুড়ি নেই থানকুনি পাতার। দুধের সঙ্গে মিসরি ও থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন।

পেটের সমস্যা

আলসার এগজিমা, হাঁপানি, চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে থানকুনি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত থানকুনির রস খেলে ত্বক ও চুল সুন্দর থাকে। জ্বর পেটের পিড়া, আমাশয়য়, আলসার, বাতের বাথা বিভিন্ন অসুখের ওষুধ হিসেবে এটির ব্যাবহার রয়েছে।

কাশি ও ঠাণ্ডা

কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে ও রক্তে প্রবেশ করে। প্রতিদিন সকালে অল্প পরিমাণ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানগুলি বেরিয়ে যায়।

ভিটামিন সি যুক্ত

ভিটামিন সি যুক্ত থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামিনো অ্যাসিড, বেটা ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।

বলিরেখা

ত্বকের বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থানকুনি পাতা। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখা পড়ে না।

স্নায়ুতন্ত্র

থানকুনি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সংবহনতন্ত্রের স্থায়ীভাবে স্ফীত ও বর্ধিত শিরা কমাতে সহায়তা করে। থানকুনি পাতা চামড়া মসৃণ করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে পুণর্গঠনে সাহায্য করে।

আরএম/