দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার দেশে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক, ভ্রাম্যমাণ আদালত, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

চাঁদপুর: সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সদরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সংলগ্ন লেক থেকে ১৫টি ও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সিআইপি বেড়িবাঁধ সংলগ্ন খালের পাশে থাকা ২২৭টি অবৈধ স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়।

কুমিল্লা: গোমতী নদীর পাড়ে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে ১৩৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আদর্শ সদর উপজেলার পশ্চিম মাঝিগাছা, পশ্চিম বিষ্ণপুর, আড়াইওরা, দক্ষিণ রসুলপুর ও উত্তর শ্রীপুর এলাকায় এ অভিযান চলে।

কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ বলেন, জেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তির ওপর যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।

ফেনী: জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কাজীরবাগ ও মালীপুর মৌজায় কুমাড়িয়া খালের পাড় থেকে ৫০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

অভিযানের আগে রানীরহাট বাজারে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে মানববন্ধনে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

পঞ্চগড়: তুলারডাঙ্গা এলাকার করোতোয়া নদী দখল মুক্ত করার মধ্য দিয়ে সকালে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, তাদের বাঁধের দুপাশে ৯৬টি পরিবার অবৈধভাবে বসবাস করছে। অবৈধ দখলকারীদের অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা বাঁধের দুপাড় থেকে সরে যায়নি। অবশেষে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনে এ বাঁধ এলাকায় সোনার বাংলা নামে একটি পার্ক স্থাপন করা হবে।

লক্ষ্মীপুর: সকালে সদর উপজেলার জকসিন উত্তর বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় রাস্তার পাশে খালের ওপর গড়ে ওঠা প্রায় ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদের আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও সরিয়ে না নেয়ায় সেগুলো বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ করা হয়।

পাবনা: সকালে শহরের হাউজপাড়া এলাকায় ইছামতি নদীর পাড় থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল হক জানান, পৌর এলাকায় ইছামতি নদীর ৮ কিলোমিটার পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ২৮৫ জন অবৈধ দখলদার নানা স্থাপনা তৈরি করে রাখায় নদীটি মরা খালে পরিণত হয়েছিল। বিভিন্ন সময় দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেও তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার প্রথম ধাপে শহরের দুই কিলোমিটার পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে অভিযান চলমান থাকবে।

বাগেরহাট: চিতলমারী উপজেলায় মরা চিত্র নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সকাল ১১টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহিনুজ্জামানের নেতৃত্বে চিতলমারী বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে অভিযান শুরু হয়।

সুনামগঞ্জ: পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকায় সুরমা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ ৯টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। সেই সাথে পাঁচ উপজেলায় একযোগে চলে উচ্ছেদ অভিযান।

ঝালকাঠি: সদর উপজেলার বাউকাঠি থেকে ভিমরুলী বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। সকালে জেলা প্রশাসক মো. জোরহ আলীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় খালের দুই পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১৫টি বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে ফেলা হয়।

শরীয়তপুর: পৌরসভার বটতলা এলাকায় খালের ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭৭টি দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।

তিনি জানান, সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে এসব দোকান নির্মাণ করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসনের পক্ষে তিনি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন।খবর ইউএনবি

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান