দেশের ভাবমূর্তি বাড়াতে এবারের জাপান সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর: বাংলাদেশ নতুন ও ছোট একটি দেশ। আমাদের দেশের ইমেজ বাড়ানোর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। আমরা যারা শিল্প উদ্যোক্তা, শিল্পপতি বিশেষ করে এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য রিলেটেড রেগুলেটরি যারা আছে, সবাইকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাপান সফরে গিয়েছেন। সেখানে আমি এবং এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের সাথে সেখানে অনেক জাপানিজ বিনিয়োগকারী সভায় উপস্থিত ছিলেন। জাপান সফরের মাধ্যমে আমাদের দেশের ইমেজের ক্ষেত্রে একটা অনেক বড় অর্জন হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের লোকজনের মধ্যে অনেক ট্যালেন্ট আছে। বাংলাদেশ সরকারের কমিটমেন্ট আছে। এসব কিছুর মাধ্যমে দেশের ইমেজ অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিং হয়েছে। অনেক জাপানিজ আছেন যারা অন্যান্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বক্তব্য শুনলেন। আমাদের শিল্পে যারা যুক্ত আছেন বিশেষ করে ইন্ডাস্ট্রির যারা প্রতিনিধি আছেন, তাদের বক্তব্য শুনলেন। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্য শুনলেন। অন্যান্য আইটি ইন্ডাস্ট্রির স্কোপ নিয়ে বক্তব্য শুনলেন। ফলে বাংলাদেশ সম্পর্কে জাপানিদের মাঝে পজিটিভ ইমেজ তৈরি হয়েছে।

বিনিয়োগ আগ্রহ: জাপানিজদের বাংলাদেশের বিনিয়োগ করার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। জাপানিরা বুঝতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে বড় কনজিউমার বেইজ রয়েছে। আমাদের দেশে প্রায় ১৭-১৮ কোটি মানুষ। মধ্যবিত্তের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটির উপরে। বাংলাদেশে অনেক কৃষি সম্পদ আছে, যেগুলোকে ভ্যালুঅ্যাডেড করে ডমেস্টিক মার্কেটে মার্কেটিং করা যেতে পারে। বাংলাদেশে অনেক ইনফ্রাস্ট্রাকচার করা যেতে পারে এবং সে সুযোগও রয়েছে। এর কারণ হলো, আমাদের পারক্যাপিটা ইনকাম বাড়ছে। দেশে আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। এখানে পোর্ট তৈরি হচ্ছে। আন্ডার রিভার টানেল, মেট্রোরেল হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছু হবে। সর্বক্ষেত্রে আমি মনে করি ,জাপানি সরকার ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টরা সবাই বাংলাদেশকে নিয়ে পজিটিভ ভাবছে। বাংলাদেশে অনেক ভালো জাপানি ইনভেস্টমেন্ট আসবে। জাপান বাংলাদেশকে সাপোর্ট দিবে। বাংলাদেশকে এ্যাডভান্স করতে হলে টেকনোলজি দরকার। জাপানিজদের কাছে অনেক টেকনোলজি রয়েছে। এই টেকনোলজি যুক্ত হলে সর্বক্ষেত্রে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে। কৃষিতে, ফ্যাক্টরিতে প্রোডাক্টিভিটি বাড়বে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হবে।


স্মার্ট কৃষি:
আমাদের দেশে স্মার্ট কৃষি কাজ শুরু হয়ে গেছে। আপনারা জানেন, আমরা যন্ত্র দিয়ে ধান কাটি। জমিতে ধান লাগানো হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে। ইরিগেশন হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে। সম্প্রতি আমরা ড্রোন নিয়ে আসছি। আমরা আশা করছি, ড্রোন ডেভেলপমেন্ট হলে সার-কীটনাশক ড্রোন দিয়ে স্প্রে করা সম্ভব হবে। গরুর খামারে দুধ দোয়ানো হচ্ছে যন্ত্র দিয়ে। পুকুরে মেশিন দিয়ে মাছের খাবার দেওয়া হচ্ছে। পোল্ট্রি অনেক ম্যাকানাইজড হয়ে গিয়েছে। আমাদের আরো স্কিল-আপ হতে হবে। এর জন্য আরো নতুন সহজ টেকনোলজি লাগবে। আমাদের দেশে ছোট উদ্যোক্তারা এসব টেকনোলজি ব্যবহার করে লাভবান হবে বলে আমার প্রত্যাশা।

ড. এফ এইচ আনসারী
প্রেসিডেন্ট, এসিআই এগ্রি বিজনেস