ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, আটক ৫

ঢাকার ধামরাইয়ে এক পোশাক শ্রমিককে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বাসের চালক ও সহকারীসহ মোট ৫ জনকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

রোববার,৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কচমচ এলাকা থেকে চলন্ত বাস থামিয়ে ওই নারী পোশাক শ্রমিককে উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের আটক করা হয়।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মলয় সাহা জানান, কারখানায় কাজ শেষে ধামরাইয়ের ইসলামপুর থেকে রোববার রাতে ‘যাত্রীসেবা’ নামের একটি লোকাল বাসে ওঠেন ওই পোশাক শ্রমিক। এরপর বাসের হেলপার বাসের দরজা বন্ধ করে দেয় এবং চালক বাসটি মহাসড়কে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে চালাতে শুরু করে। এসময় চালকসহ ৫ জনের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। ওই নারীর ডাক ও চিৎকারে একটি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধামরাই থানা পুলিশকে খবর দেন।

আটককৃতরা হলেন, বাস চালক বাবু, হেলপার বলরাম, মকবুল, সোহেল ও আজিজুল। পরে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে সকালে তাদেরকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

এসআই মলয় সাহা আরো জানান, বাসটি ব্যারিকেড দিয়ে থামিয়ে নারী শ্রমিককে উদ্ধার ও ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই নারী শ্রমিককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে গেলো বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে বাসের ভেতরে ঢাকার আইডিয়াল ল` কলেজের শিক্ষার্থী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বাসের চালক এবং তিন হেলপারের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া বাসের সুপারভাইজারকে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আরএম/