নতুন রেকর্ডে সৌম্য

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডির ৩১৮ রান তাড়ায় নেমে বিস্ফোরণ শুরু করেন সৌম্য। ৭৮ বলে পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। তখনই মেরে দিয়েছেন ৮ ছক্কা। পরে ডাবল সেঞ্চুরি করে মেরেছেন ১৬ ছক্কা।

সেঞ্চুরির পর আরও উত্তাল হয়ে উঠে তার ব্যাট। তাইজুল ইসলাম, মিনহাজুল আবেদন আফ্রিদিদের পিটিয়ে মারতে থাকেন পর পর ছক্কা। তাইজুলকে এক ওভারে তিন ছক্কা মেরে ১০৩ বলে স্পর্শ করেন দেড়শো রান। পেরিয়ে যান রেকর্ডও।

সৌম্যের ধার কমেনি পরেও। ১৪৯ বলে পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরিতে। পেরিয়ে যায় ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে খেলা রকিবুল হাসানের ১৯০ রানের ইনিংসকে। দলকে জিতিয়ে ১৫৩ বলে ২০৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। মেরেছেন ১৪ চার আর ১৬ ছক্কা।

সৌম্যের তাণ্ডবের দিন রেকর্ড হয়েছে জুটিতেও। জহুর ইসলামের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৩১২ রান। বাংলাদেশের লিস্ট-এ ক্রিকেটে যেকোন উইকেটে তিনশো রানের জুটির প্রথম নজিরই এটি। সৌম্যের ঝড়ে টের পাওয়া যায়নি, কিন্তু সেঞ্চুরি করেছেন জহুরুল ইসলামও। ১২৮ বলে ১০০ রান করে ফেরেন তিনি। এই দুজনের ব্যাটেই ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী।

বাংলাদেশিদের মধ্যে লিস্ট-এ ক্রিকেটে প্রথম ১১ ছক্কা মেরেছিলেন মাশরাফি। ২০১৬ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার শেখ জামালের বিপক্ষেই কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে ৫০ বলে সেঞ্চুরির করতে ওই রেকর্ড গড়েন মাশরাগি। গত বছর মাশরাফির পাশে নাম লেখান সৌম্য। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে বিকেএসপিতে ১২৭ বলে খেলেন ১৫৪ রানের ইনিংস, যাতে ছিল ১১ ছক্কা। ১১ ছক্কার সর্বশেষ নজির দু’দিন আগেই। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ১১৬ বলে ১৪৮ রানের ইনিংসে ১১ ছক্কা মেরেছিলেন সাইফ হাসান।

লিস্ট-এ ক্রিকেটে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার ডর্চি শর্টের। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ বলে ২৫৭ রানের ইনিংসে ২৩ ছক্কা মেরেছিলেন তিনি।