নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের ওপর পরিবহন শ্রমিকদের হামলা

নারায়ণগঞ্জে পরিবহনশ্রমিকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানবাহন ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে অবরোধ করেছেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ আশপাশের জেলা শহরগুলোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পরিবহনশ্রমিকেরা সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ব্যক্তিরা বলেন, যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরিবহনশ্রমিকেরা সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় বিভিন্ন স্কুল–কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। শিক্ষার্থীদের মারধর করতে দেখা গেছে তাঁদের।

বুধবার সকাল পরিবহনশ্রমিকেরা যানবাহন ভাঙচুর ও নিরাপত্তাদের দাবিতে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। মহাসড়কের দুপাশে (ঢাকাগামী ও চট্টগ্রামগামী) যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। গণপরিবহন ঢাকায় ঢুকতে ও ঢাকা থেকে বের হতে বাধা দেন।

পরিবহন শ্রমিকরা চার শিক্ষার্থীকে মারধর করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান. চার শিক্ষার্থীকে সিদ্ধিরগঞ্জে থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পরিবহনশ্রমিকদের দাবি, দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এ কারণে তাঁদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। পরিবহনশ্রমিকদের মারধর করা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পরিবহনশ্রমিকদের নিরাপত্তা দেওয়া না হলে কোনো গাড়ি চলবে না।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে বাস পরিবহনশ্রমিকেরা তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন। এ ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চয়তা চান। নিশ্চয়তা পেলে তবে গাড়ি চালাবেন। অবরোধ তুলে নেবেন। তাঁদের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

 

আজকের বাজার/এমএইচ