দেশের উচ্চ আদালতে বেশিসংখ্যক নারী বিচারপতি নিয়োগে আমরা সচেষ্ট থাকবো। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেছেন, জেলা ও দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নারীদের নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউশনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ উইম্যান জাজ অ্যাসোসিয়েশন।
বিভিন্ন জেলায় আবাসন বরাদ্দের ক্ষেত্রে নারী বিচারপতিদের অগ্রাধিকার দিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দু’জন বিচারক হলে তাদের কর্মস্থল একই জেলায় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। তবে সঙ্গত কারণে তা সম্ভব না হলে পাশের জেলায় পদায়ন করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিচারাঙ্গনে যে নারীরা কাজ করছেন, তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টিতে আনতে চাই।
স্পিকার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী গণতন্ত্র পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সুবিচার নিশ্চিত করতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তার বাস্তবায়ন করা জরুরি।
বাংলাদেশ উইম্যান জাজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তানজিনা ইসমাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতির স্ত্রী সামিনা খালেক, সংগঠনের উপদেষ্টা আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি জিনাত আরাসহ বিচারিক আদালতের নারী বিচারকরা।
আজকেরবাজার/এসকে
