নায়করাজের সমাধিতে শ্রদ্ধা শিল্পী সমিতির

কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ্জাকের জন্মদিন মঙ্গলবার। এ উপলক্ষে সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে নায়করাজের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ উপস্থিতি ছিলেন সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সহসভাপতি রিয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তারা শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়ায় অংশ নেন।

এ সময় সওদাগর বলেন, ‘অনেক পূর্ণতা ঢেকে যায় রাজ্জাক ভাইয়ের না থাকার শূন্যতায়। মহান আল্লাহ্ তাকে বেহেশত দান করুন এই প্রার্থনা করছি।’

প্রয়াত হওয়ার পর এবারই প্রথম পালিত হচ্ছে রাজ্জাকের জন্মদিন। এ উপলক্ষে তার পরিবার ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো একাধিক আয়োজন রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ ও আলোচনা সভা।

রাজ্জাক ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি।

অভিনয় ক্যারিয়ারের প্রথমদিকে রাজ্জাক তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে ‘ঘরোয়া’ নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হন। পরে নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে তিনি চিত্র পরিচালক আব্দুল জব্বার খানের সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পান।

সালাউদ্দিন প্রোডাকশন্সের ‘তেরো নাম্বার ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করে মেধার পরিচয় দেন রাজ্জাক। জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ চলচ্চিত্রে প্রথমবার নায়ক হন।

তিনি প্রায় ৩০০টি বাংলা ও উর্দু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পরিচালনা করেছেন প্রায় ১৬টি চলচ্চিত্র। রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে— স্লোগান, অতিথি, কে তুমি, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, প্রিয়তমা, পলাতক, ঝড়ের পাখি, খেলাঘর, চোখের জলে, আলোর মিছিল, অবাক পৃথিবী, ভাইবোন, বাঁদী থেকে বেগম, সাধু শয়তান, অনেক প্রেম অনেক জ্বালা, মায়ার বাঁধন, গুণ্ডা, আগুন, মতিমহল, অমর প্রেম, যাদুর বাঁশী, বন্ধু, কাপুরুষ, অশিক্ষিত, সখি তুমি কার, আনারকলি, লাইলী মজনু, লালু ভুলু, স্বাক্ষর, দেবর ভাবী, রাম রহিম জন, আদরের বোন, দরবার, সতীনের সংসার, অন্ধ বিশ্বাস, জজ সাহেব, বাবা কেন চাকর, পৃথিবী তোমার আমার, বাবা কেন আসামি, মরণ নিয়ে খেলা, পিতার আসন প্রভৃতি।

রাজ্জাক ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।

আজকের বাজার: সালি / ২৩ জানুয়ারি ২০১৮