নেপালে বিমান দুর্ঘটনা: অভিযোগ অস্বীকার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবনে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটির ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতান নেপালে যাওয়ার আগে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের কাছে তার পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন বলে কেউ কেউ দাবি করেছিলেন। তবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আজ রোববার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের সিইও ইমরান আসিফ এসব তথ্য জানান।

ইমরান আসিফ বলেন, তাকে জোর করে ফ্লাইটে পাঠানো হয়নি। পাইলট ক্যাপ্টেন আবিদ অবসাদগ্রস্ত হননি বা তাকে জোর করে পাঠানোর বিষয়টি পুরোপুরি অবান্তর। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন। বিমানেও কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল না।

গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার ওই ফ্লাইটে ৭১ আরোহীর মধ্যে দুর্ঘটনায় ৫১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৭ জন বাংলাদেশি ছিলেন। ওই দুর্ঘটনার প্রায় দেড় মাস পর আপডেট জানালো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইমরান আসিফ বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক- দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যা মোটেও সত্য নয়। বলা হয়েছে বিমানটি পুরানো ছিল, পাইলটকে জোর করে পাঠানো হয়েছে, তিনি অবসাদগ্রস্ত ছিলেন। এসব তথ্য সঠিক নয়।

তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন আবিদ দুর্ঘটনার আগে সর্বশেষ রিপোর্টে ফ্লাইংয়ের জন্য ফিট ছিলেন। তার মেডিকেল রিপোর্ট ছিল ‘ক্লাস ওয়ান’। বাংলাদেশের পাইলটদের মধ্যে ১২ জন ডিসিপি পাইলট আছেন তাদের মধ্যে আবিদ অন্যতম। ইউএস-বাংলার পাইলটের ফ্লাইং মনিটরিং করার জন্য এফডিএম ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। এফডিএম পর্যালোচনা করে ক্যাপ্টেনের কোনো অসঙ্গতি থাকলে ব্রিফ করে। প্রয়োজনে ইন্সট্রাক্টরের মাধ্যমে আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। তবে আবিদের ক্ষেত্রে এটির প্রয়োজন হয়নি।

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেপালের তদন্ত কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি রয়েছে দাবি করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, সকলের প্রতি আস্থা রেখে বলছি, রিপোর্টে যেসব বিষয় কভার করার কথা ছিল- তা হয়নি। রিপোর্ট মানছি না- তা বলব না। তবে রিপোর্টে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু বিষয় রয়েছে।

এস/