পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে, চুক্তির বাকি ধারাগুলোও বাস্তবায়ন হবে, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেন,‘সরকার পার্বত্য এলাকার মানুষকে অনেক গুরুত্ব দেয় এবং মূল্যায়ন করে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। এই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেছেন।’

প্রতিমন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত‘পার্বত্য শান্তিচুক্তি: পার্বত্যবাসীর প্রত্যাশা, প্রাপ্তি, চ্যালেঞ্জ এবং করণীয়’শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডা. মুরাদ হাসান বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক বিচক্ষণতা সারাবিশ্বে স্বীকৃত। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিক মর্যাদা দিয়ে স্বদেশে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘসহ প্রত্যেকটি আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলছেন। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।’

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার মূল সমস্যা আধিপত্য, ভূমি দখল, ভূমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং নিজেদের মধ্যে মতদ্বৈততা। এসব সমস্যা সমাধানে তিনি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘আমরা বাঙালি, আমাদের আলাদা কোন নাম নেই। অঞ্চলভেদে হয়তো কিছু নাম ব্যবহার হয়ে আসছে।

আমাদের জাতিসত্ত্বা আমরা বাঙালি জাতি, কোন সংখ্যালঘু, আদীবাসী বলে কিছু নেই। এরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, এদের সমাজের মূল স্রোতের সাথে এগিয়ে আনার জন্যই এই নামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এরা আলাদা কোন জাতি নয়, এরা বাঙালি। এই সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলার কোন সুযোগ নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম ও সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. শফিউল্লাহ।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদীপ্ত চাকমা ও আবদুস সাত্তার, লক্ষীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল চৌধুরী, রাঙামাটি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন (রোমান), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম ও খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হেমন্ত ত্রিপুরা। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান