পায়রায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু এপ্রিলে থেকে

২০১৬ সালের ১৯ মার্চ পায়রা সমুদ্রবন্দরের কাছাকাছি রাবনাবাদ নদীর তীরে একটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণে লক্ষ্যে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনা পাওয়ার কোম্পানির মধ্যে এক স্মারক সই হয়। ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পেরর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দেড়শ কোটি ডলার।

ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের প্রায় ৩১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে দুইটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০১৯ সালে।

প্রথম ধাপে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ইউনিটগুলোর কমিশনিং হবে। আর ওই সময়ই প্রথম ইউনিট ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে। ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে পায়রা ইকো ফ্রেন্ডলি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

প্রকল্প এলাকা মধুপাড়া ও নিশানবাড়িয়া মৌজার মরিচবুনিয়া,দাসের হাওলা, মাছুয়াখালি, গরাৎ খাঁ, চর নিশানবাড়িয়া গ্রামে ১৩৫টি বাড়ি ঘর ছিল: যা ইতোমধ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে। ১২০০ পরিবারের প্রায় এক হাজার একর কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বন্দরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সংযোজনের ক্ষেত্রে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সরকার আশা করছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক সাইফুল হাসান চৌধুরী জানান, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী সাশ্রয়ী কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এরমধ্যে কয়লা ভিত্তিক ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। বর্তমানে শুধুমাত্র বড়পুকুরিয়ায় ২৫০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।

এদিকে কয়েক দিন আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, সরকার পটুয়াখালীর পায়রা এলাকায় বিদ্যুৎ হাব স্থাপন করবে। এখানে মোট ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। সব মিলিয়ে ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।

আজ চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা জিনহুয়ার এক খবরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বরাতে সমগ্র কাজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়েছে। সেই খবরেই জানানো হয়েছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ সময়ের মধ্যেই উৎপাদনে যাবে পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
আজকের বাজার : সালি / ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭