ছয় নারীকে ধর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

ছয় নারীকে ধর্ষণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আরিফ ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভেদরগঞ্জ থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভেদরগঞ্জ থানা পুলিশ গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের সাইক্কা ব্রিজ এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা রেখে স্থানীয় এক নারীর ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও ওই নারীকে দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেন। ওই ধর্ষণের ঘটনাও গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করেন আরিফ। ওই ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে মানুষের হাতে হাতে ছড়িয়ে পড়ে।

একই পদ্ধতিতে ফাঁদে ফেলে মোট ছয় নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে আরিফের বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর থেকে এ সকল ভিডিও মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন আরিফ।

লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ মুখ খুলতে রাজি হচ্ছেন না। কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। আবার এক নারীকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে তিনি অনেক নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে এ সকল অশ্লীল ভিডিও দেখে মানুষের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
পরে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় গত ১১ নভেম্বর ছাত্রলীগ নেতা আরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক নারী।

এছাড়া দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরিফকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় গোসাইরহাট উপজেলার সাইক্কা ব্রিজের কাছ থেকে অভিযুক্ত আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
আজকের বাজার: সালি / ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭