পিএসএলের ফাইনাল আয়োজনে তৈরি করাচি

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সর্বশেষ আসরের ফাইনাল হয়েছিল লাহোরে। অনেক পথ বেয়ে যা আয়োজন করে বিশ্বকে একটাই বার্তা দেয়ার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। সেই বার্তাটি হলো- পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য নিরাপদ। নিরাপত্তা শঙ্কায় ফাইনালে উঠা দুই দলের সব বিদেশি খেলোয়াড় যেতে না চাইলেও, অনেক খেলোয়াড়ই আবার গিয়েছিলেন। লাহোরের পর ২০১৮ পিএসএলের ফাইনাল এবার করাচিতে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। রোববার বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে করাচিতে হয়ে গেল ফাইনালের মহড়া। পাকিস্তান মিডিয়া বলছে, পরিদর্শকদের সন্তুষ্টই করতে পেরেছে পিসিবি।

পিএসএলের তৃতীয় আসর মাঠে গড়াবে ২২ ফেব্রুয়ারি। শারজাহ এবং দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে লিগ। তবে সব ঠিক থাকলে দুটি প্লে-অফ ম্যাচ ও ফাইনাল হবে পাকিস্তানের মাটিতে। প্লে-অফ দুটি লাহোরে এবং ফাইনাল করাচিতে আয়োজন করতে চায় পিসিবি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিদর্শক দলের প্রতিনিধি রেগ ডিকসন সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ সবকিছুই আন্তর্জাতিক মানের। সাত দিনের মধ্যেই ফিকাকে (ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন) নিজের রিপোর্ট প্রদান করবেন ডিকসন।

২০০৯ সালে সফররত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের টিম বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে পাকিস্তান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে তখন নিজেদের হোম ভেন্যু বানাতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। তবে কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে তৎপর ছিল সব সময়।

সেই তৎপরতার অংশ হিসেবেই সফলভাবে সর্বশেষ পিএসএলের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় লাহোরে। বেশ কিছু বিদেশি খেলোয়াড় সেখানে খেলে। সেই সফল আয়োজনের পর বিশ্ব একাদশ ও পাকিস্তান একাদশের মধ্যে টি-টুয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করা হয়।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হয়েছে একটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচও। সেই আয়োজনগুলোতে পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল প্রসংশা দাবিদার।

লাহোর হয়ে এবার করাচিতে ফিরবে ক্রিকেটের বড় আয়োজন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ করাচিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল। সেটি লাহোরে সন্ত্রাসী হামলার ঠিক এক সপ্তাহ আগে।

আজকের বাজার: সালি / ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮