প্রথম বাজেটের তুলনায় ৪৭ তম বাজেট আকারে ৬০০ গুণ বড়

স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম বাজেট পেশ করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। সেই বাজেটের আকার ছিলো ৭৮৬ কোটি টাকা। জাতীয় সংসদে দেশের ৪৭তম বাজেট পেশ করতে শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। যা প্রথম ঘোষিত বাজেটের তুলনায় প্রায় ৬০০ গুণ বড়।

অতীতের বাজেটগুলোতে যেমন ঘাটতি ছিলো, তেমনি এ বাজেটেও থাকছে বড় অংকের ঘাটতি।

প্রশাসনিক ব্যয় মেটানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়নে সদ্য স্বাধীন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের প্রথম বাজেট ছিল অনেকটাই বিদেশি অনুদান ও ঋণ নির্ভর।

১৯৭২ সালের ৩০ জুন মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭৪ সালে বাজেটের আকার হয় ১ হাজার কোটি টাকা, যা ১৯৮৮ সালে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকায়।

২০০৩ সালে ঘোষিত ৩১তম বাজেট প্রথমবারের মতো ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পেশ করা ওই বাজেটের আকার ছিল ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা।

৫ বছর পর ২০০৮-৯ অর্থ বছরে যা ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম পেশ করেন এই বাজেট।

২০১১ সালের ৯ জুন পেশ করা হয় ৪১তম বাজেট, যার আকার ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। মহাজোট সরকারের গত মেয়াদের ৫ম ও শেষ বাজেট দুই লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়,আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকারের প্রথম বাজেট দেয়া হয় ২০১৪ সালের ৫ জুন। যার আকার ছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। দুই বছর পরই ২০১৬ সালে এসে এর আকার দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে দেশের বাজেটের আকার ৪ লাখ কোটির মাইলফলকে পৌঁছায়।

রাসেল/