চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্টের মধ্যে সরাসরি শিপিং সার্ভিস চালু করা হবে। এরইসাথে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বন্দরকে কারিগরি সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মেরিন সার্ভিস, টাগ অপারেশন ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করবে। এলক্ষ্যে তিনটি দেশের বন্দর কর্তৃপক্ষ সমঝোতা স্মারকপত্র শিগগিরই স্বাক্ষর করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বন্দরগুলোর সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ হলে সময় এবং খরচ অনেক কমে যাবে। বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন রপ্তানীযোগ্য বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আমেরিকায় গমনকারী তৈরী পোষাক শিল্পে নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। এতে যাতায়াত সময় এবং খরচ কমবে। ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেগবান হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মরক্কোর বিভিন্ন বন্দর পরির্দশনত্তোর এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব কথা বলেন। এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, মমতাজ বেগম, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়াম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহন খান জানান, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহন মন্ত্রীর এর সাথে জোহানেসবার্গ বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে সাক্ষাত করেন। ফলে ডারবান এবং কেপটাউন বন্দর সফর অত্যন্ত গুরুত্ব পায়। ডারবান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় সবসূচকেই এগিয়ে আছে। এটি একটি মাল্টিপারপাস বন্দর। ভবিষ্যতে ডারবান পোর্টের সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সিস্টার পোর্ট রিলেশনশীপ করা যায় কিনা এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে বিশ্বের উন্নত বন্দরসমূহের সম্পর্ক স্থাপন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি প্রতিনিধিদল গত (১৫ জানুয়ারি) সন্ধায় দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। সফরের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আফ্রিকান দেশ সমূহের সাথে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি ও পোর্ট এবং শিপিং সেক্টেরের বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক প্রণয়ন করা। তারা ১৬ থেকে ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান ও কেপটাউন পোর্ট এবং মরক্কোর তানজের মেড পোর্ট পরিদর্শন শেষে ২৪ জানুয়ারি দেশে ফেরেন।
আজকের বাজার: এনএল/এলকে ২৫ জানুয়ারি ২০১৮
