বিআইএন ও ই-বিআইএন দুটোই ব্যবহার করা যাবে

আগামী ১ জুলাই থেকে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন (ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) এর পাশাপাশি ১১ ডিজিটের (পুরাতন) বিআইএন ব্যবহার করা যাবে। এর আগে ১ জুলাই থেকে অনলাইনভিত্তিক নতুন ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এর সঙ্গে আরও ঘোষণা দেওয়া হয়, ১ জুলাই নতুন আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে পুরাতন ১১ ডিজিটের বিআইএন দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ কোনো ব্যবসায় কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। কিন্তু ২৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে অর্থবিল, ২০১৭ এর ওপর বক্তব্যে নতুন ভ্যাট আইন আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত করে ১৯৯১ সালের ভ্যাট আইন বহাল রাখার ঘোষণা দেন।

নতুন আইন স্থগিত আর পুরাতন আইন বহালের ফলে ই-বিআইএন এর বাধ্যতামূলক ব্যবহার থেকে সরে এসেছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নতুন ও পুরাতন দুই ডিজিটই ব্যবহার করা যাবে।

এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ২ বছরের জন্য স্থগিত হলেও ভ্যাট আইন ১৯৯১ এর অধীন অটোমেশনের কাজ অব্যাহত থাকবে। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন এবং ব্যবসায়ের কর্ম-পরিবেশের উন্নতিকল্পে অটোমেশনের সব কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।

তিনি বলেন, পরবর্তী সিদ্ধান্ত না জানানো পর্যন্ত ১১ ডিজিটের পুরাতন বিআইএন ও ৯ ডিজিটের নতুন ই-বিআইএন দ্বারা আমদানি-রপ্তানি, এলসি খোলা, টেন্ডারে অংশগ্রহণসহ সব কাজ সম্পন্ন করা যাবে।

এনবিআরের হিসেবে, ৮ লাখ ৮৪ হাজার প্রতিষ্ঠান বিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। ২৩ মার্চ থেকে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ২২ জুন পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৭১ রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। এরমধ্যে টার্নওভার প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২৭৯ ও ৪৮ হাজার ৮৯২ ভ্যাট নিবন্ধন। নতুন ভ্যাট নিবন্ধন নিয়েছে ১৯ হাজার ৬৯৪টি ও পুন: নিবন্ধন ৩০ হাজার ৪৭৭ প্রতিষ্ঠান।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ৩০ জুন ২০১৭