বিতর্ক সৃষ্টি করে অনুতপ্ত ক্যারিবিয় অধিনায়ক

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আয়োজনে বিতর্ক যেন সঙ্গী হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তরুণদের। ২০১৬ ও ২০১৮- দুই বিশ্বকাপেই ক্রিকেটের স্পিরিটের বাইরে গিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের আউট করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন উইন্ডিজ যুবারা। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যানকে ‘ম্যানকাডিং’ পদ্ধতিতে আউট করেছিল উইন্ডিজ দল। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানকে তারা আউট করেছে ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ডে’র অভিযোগে। দারুণ সমালোচিত হওয়ার পর ক্যারিবিয় অধিনায়ক স্টুয়ার্ট ইমানুয়েল স্বীকার করেছেন এমনটা করা উচিত হয়নি তার।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের বাঁচামরার ম্যাচে শেষ ওভারে উইন্ডিজের বিপক্ষে জিততে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৩ রান। হাতে ছিল ১ উইকেট। বল করার সময় নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান রিচার্ড এনগারাভার স্টাম্প ভেঙে দিয়ে ‘ম্যানকাডিং’ পদ্ধতিতে আউট করেন উইন্ডিজ পেসার কিমো পল। ফলে ম্যাচটি জিতে নক আউট পর্বে ওঠে দলটি এবং শেষপর্যন্ত শিরোপা জেতে।

নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মানগানুইতে এবারের বিশ্বকাপেও নক আউট পর্বে যেতে গ্রুপপর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় প্রয়োজন ছিল ক্যারিবিয়দের। প্রথমে ব্যাট করতে নামে প্রোটিয়ারা। ম্যাচের ১৭ তম ওভারে প্রোটিয়া যুবা ওপেনার জিভেশান পিল্লাই হাতে করে বল উইন্ডিজের উইকেটকিপার ও অধিনায়ক স্টুয়ার্টকে দেন। তখন ‘অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড’ এর অভিযোগ আনেন স্টুয়ার্ট। ফলে উইকেট হারান পিল্লাই।

স্টুয়ার্টের এই আচরণ নিয়ে তৎক্ষণাত সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোয়। ক্যারিবিয়দের ধুয়ে দেন অনেক সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটার। আর শেষপর্যন্ত ম্যাচটি হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয় উইন্ডিজের।

তবে নিজের ভুল ঠিকই বুঝতে পেরেছেন স্টুয়ার্ট। তার মতে আইন অনুযায়ী আউট দেয়া হয়েছিল পিল্লাইকে, ‘আমি আপিল করেছি এবং খেলার আইন ও নিয়ম অনুযায়ী আউট দেয়া হয়েছে।’ তবে বিষয়টি যে খেলার স্পিরিটের সাথে যায় না তা বুঝেছেন পরে, ‘কিন্তু এটা খেলার স্পিরিটের বহির্ভূত ছিল। এখন সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তবে আমার উচিত ছিল আবেদনটি প্রত্যাহার করা।’

আজকের বাজার: সালি / ১৮ জানুয়ারি ২০১৮