ভারতের দ্বিমুখী নীতি!

একই কাজে দুরকম আচরণ করে সমালোচনায় ভারত। সেদেশরই এক গণমাধ্যম এটাকে দ্বিমুখী নীতি আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলো।

ভরতীয় সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকলের খরব, একদিকে প্রশংসায় ভাসছেন শহীদ আফ্রিদি, অন্যদিকে দেশ ছাড়ার হুমকি শুনতে হচ্ছে ঋষি কাপুরকে। অথচ দুজন প্রায় একই ধরনের কাজ করেছেন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের জানিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা।
শুরুটা করেছেন ঋষি কাপুর। ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনটা দিবসে এই অভিনেতা একটি টুইট করেছিলেন, পাকিস্তানের সব বন্ধুকে স্বাধীনটা দিবসের শুভেচ্ছা। শান্তি, ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসাই সব সময় প্রাধান্য পাক।’ ব্যস, চটে গেলেন ভারতীয়রা। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কেন একজন ভারতীয় শুভেচ্ছা জানাবে, এটাই তাদের প্রশ্ন। অনেকে তো তাঁকে ভারত ছেড়ে চলে যেতেও বললেন। টুইটারে একের পর এক মন্তব্যের তির ধেয়ে গেল ঋষি কাপুরের দিকে।

পরের দিনেই সুর পাল্টে গেল! ১৫ আগস্টে ভারতের স্বাধীনতা দিবসে শহীদ আফ্রিদি শুভেচ্ছা জানালেন ভারতকে। তাঁর কথাবার্তাতেও প্রায় ঋষির সুর, ‘ভারতকে স্বাধীনটা দিবসের শুভেচ্ছা। প্রতিবেশী তো পাল্টানো সম্ভব নয়। আসুন শান্তি, সহনশীলতা ও ভালোবাসার জন্য কাজ করি। মানবিকতা এগিয়ে থাকুক। আশা টিকে থাকুক।

ঋষির শুভেচ্ছা জানানো মেনে নিতে পারেনি ভারতীয়রা। কিন্তু আফ্রিদির এমন বার্তা পেয়ে আবার তারাই খুশিতে ডগমগ। এতেই প্রশ্নটা উঠেছে। এটা তো দ্বিমুখী নীতি। পাকিস্তানকে শুভেচ্ছা জানানো যাবে না, কিন্তু পাকিস্তানের কেউ শুভেচ্ছা জানালে ভালোবেসে বুকে টেনে নেওয়া যাবে! ভারতের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা বিষয়টি তুলে ধরে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে তার পাঠকদের সামনে।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৬ আগস্ট ২০১৭