ভারতে ৫ নারী স্বেচ্ছাসেবীকে গণধর্ষণ

ভারতের পূর্বাঞ্চলে ৫ নারী স্বেচ্ছাসেবীকে বন্দুকের মুখে অপহরণ ও গণধর্ষণের করা হয়েছে। এটি ছিল দেশটির সর্বশেষ সবচেয়ে ভয়াবহ যৌন হয়রানির ঘটনা।

শুক্রবার (২২ জুন) দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।

হয়রানির শিকার ওই নারীরা অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার তারা ঝাড়খন্দ রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত খুন্তি জেলায় মানব পাচার বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছিল। এ সময় তাদেরকে অপহরণ করা হয়।

তাঁরা জানায়, দুর্বৃত্তরা তাঁদের উপর চালানো হামলার ভিডিও করে ও পুলিশকে জানালে তা প্রকাশের হুমকি দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা রাজেশ প্রসাদ বলেন, ওই নারীরা স্থানীয় খ্রীস্টান মিশনারী দল পরিচালিত আশা কিরণ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ছিল।

প্রসাদ এএফপিকে বলেন, অনেক লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি আদিবাসী প্রধান গ্রাম ঘুরে দেখা হয়েছে। সেখানে পাথালগাদি খ্যাত আত্ম-নিয়ন্ত্রণ আন্দোলণের সমর্থকরা রয়েছে।
পাথালগাদির সমর্থকরা সম্প্রতি বহিরাগতদের তাদের এলাকায় অনুপ্রবেশ ও বসবাস মেনে নিচ্ছে না।

খুন্তি গ্রামে মাওবাদী সশস্ত্র গেরিলারা কয়েক দশক ধরে বিশেষত ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসাদ জানান, তদন্তের জন্য ওই নারীদের মেডিকেল টেস্ট নেয়া হচ্ছে।

নয়া দিল্লিতে ২০১২ সালে এক নারীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর সেখানে অকস্মাৎ গণ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনা ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

আজকে বাজার/ এমএইচ