ভোলায় ব্যস্ততা বেড়েছে পোশাক তৈরির কারিগরদের

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জেলায় ব্যস্ত সময় পার করছে পোশাক তৈরির কারিগররা। সকাল থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত চলে দর্জি পাড়ার কার্যক্রম। মেয়েদের থ্রি-পিস, লং ফ্রক, ছেলেদের পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট-প্যান্টসহ বিভিন্ন ডিজাইনের বাহারি নতুন পোশাক তৈরিতে মগ্ন তারা। ১৫ রোজার পর থেকে নতুন অর্ডার (ফরমায়েশ) নেয়া বন্ধ রয়েছে । ঈদ ঘনিয়ে আসায় যেন  নাওয়া খাওয়ারও সময় নেই কারিগরদের।
শহরের জিয়া সুপার মার্কেটের সিটি টেইলার্সের কারিগর মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাদের  এখানে মোট ১০ জন শ্রমিক কাজ করে। এখন আর নতুন পোশাকের অর্ডার নেওয়া হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পোশাক তৈরি করে দাওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাই রাত দিন তাদের কাজ চলে।
অপর কারিগর সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরুষের  শার্ট-প্যান্ট বা পাঞ্জাবির চাইতে মেয়েদের থ্রি-পিসসহ অন্যান্য কাজ বেশি হয়। ঈদে নারীদের পোশাকের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। এছাড়া বাচ্চাদেরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষও আসেন পোশাক তৈরি  করতে।

এদিকে কাপড়ের দোকান থেকে পছন্দের কাপড় কিনে ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন দর্জির দোকানগুলোতে। তবে এদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশি রয়েছে। পছন্দের পোশাক বানাতে মাপ দিচ্ছেন কেউ কেউ।
কারিগররা জানায়, জর্জেট থ্রি পিস তৈরিতে মূল্য রাখা হয় ৬’শ থেকে ৭’শ টাকা পিস। সুতির থ্রি-পিস ৩’শ ৫০ থেকে ৪’শ টাকা। জর্জেটের লেহেঙ্গা ১৫’শ টাকা থেকে ১৮’শ টাকা। সুতির লেহেঙ্গা ১ হাজার থেকে ১২’শ। লং ফ্রক ৩’শ ৫০ থেকে ৪’শ টাকা। এছাড়া ছেলেদের শার্ট ৪’শ টাকা। প্যান্ট ৫’শ ৫০ টাকা। মুজিব কোট ৩ হাজার টাকা। পাঞ্জাবি ৫’শ থেকে ৫’শ ৫০ পায়জামা ৩’শ থেকে ৪’শ টাকায় বানানো হয়।
চকবাজারের  কারিগর পরিমল ও বেল্লাল হোসেন বলেন, মূলত বছরের দুইটি ঈদই তাদের কাজের মৌসুম। তাই আসন্ন রোজার ঈদকে সামনে রেখে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। বছরের অন্যান্য সময়ে কাজের চাপ না থাকলেও এ সময় প্রচুর চাপ থাকে। (বাসস)