মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন

সারা দেশে ১ হাজার ৬৮১টি মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়নে ৫ হাজার ৯১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে নির্বাহী কমিটি (একনেক)। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) বাস্তবায়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে নির্বাচিত মাদ্রাসাগুলোর জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি কক্ষে একনেক সভায় এ সংক্রান্ত প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আজকের সভায় মোট ১৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা।

একনেক সভা শেষে প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের আওতায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর মাদ্রাসা উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর পুরোটাই সরকার দেবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে।

ব্যানবেইসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৯ হাজার ৩১১টি দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটি সরকারি এবং বাকি ৯ হাজার ৩০৮টি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা সহায়তা এমপিওর মাধ্যমে সরকারিভাবে দেওয়া হয়।

বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৫৫৯টি মাদ্রাসায় দুই/তিনটি শ্রেণিকক্ষ সংবলিত একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪ হাজার ৭৫২টি মাদ্রাসায় এখন পর্যন্ত কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি।

এখন পর্যন্ত ৯৭৮টি মাদ্রাসার অবকাঠামো সম্পূর্ণ কাঁচা প্রকৃতির এবং ২ হাজার ১৪৭টি মাদ্রাসায় সম্পূর্ণ পাকা ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।

ব্যানবেইসের তথ্য মতে, বেশিরভাগ মাদ্রাসায় অবকাঠামোগত উন্নত সুবিধা এখনো গড়ে ওঠেনি। ফলে অবকাঠামোগত সুবিধাবঞ্চিত এসব মাদ্রাসায় অনুন্নত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত, তাই পর্যাপ্ত তহবিলের অভাবে ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে ওই মাদ্রাসাগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাকা অবকাঠামো তৈরি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে এসডিজি-৪ বাস্তবায়নে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে নির্বাচিত ১ হাজার ৬৮১টি মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

আজকের বাজার/এমএইচ