মুশফিকের ঝড়ে উড়ে গেল রাজশাহী

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল খুলনা টাইগার্স। মুশফিকুর রহীমের ঝড়ো ৯৬ রানে রাজশাহী রয়্যালসকে ৫ উইকেটে হারাল খুলনা। চার ম্যাচ খেলে এটি রাজশাহীর প্রথম হার। ম্যাচ জেতার সঙ্গে সঙ্গে রাজশাহীকে হটিয়ে পয়েন্ট টেবিলেরও শীর্ষে উঠল খুলনা।

রাজশাহীর দেওয়া ১৯০ রানে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ওপেনার শান্তকে হারায় খুলনা। রানের খাতা খোলার আগেই রাসেলের বলে বোল্ড হন শান্ত। এরপর ৭ রান করে আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজও। ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুশফিকের দল। এরপর দলের হাল ধরেন রাইলি রুশো ও মুশফিক। এ দুইজন গড়ে তোলেন ৭২ রানের জুটি। দলের ৯৭ রানের মাথায় ৪২ রান করে আউট হন রুশো। রুশো আউট হলেও অন্যপ্রান্তে মুশফিক ঝড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন মুশফিক।

শামসুর রহমানকে নিয়ে আবারও বড় জুটি গড়ে তোলেন মুশফিক। এ জুটিতে আসে ৬১ রান। দলীয় ১৫৮ রানে আউট হন শামসুর। আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৯ রান। এরপর দলের জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে আউট হন মুশফিক। দেশসেরা এ ব্যাটসম্যান খেলেন ৫১ বলে ৯৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এ ইনিংস খেলতে তিনি হাঁকান ৯ চার ও ৪ ছক্কা। টি-টুয়েন্টিতে এটি মুশফিকের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

এর আগে, টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে মালিক-বোপারার ঝড়ে ১৮৯ রান করে রাজশাহী। এতে মুশফিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯০ রানের। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে মাত্র ৫০ বলে ৮৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মালিক। যেখানে চারটি ছক্কা এবং আটটি চার মারেন তিনি।

মালিকের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে রাজশাহী। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। মালিক ছাড়াও দুর্দান্ত খেলেছেন দলটির ইংলিশ রিক্রুট রবি বোপারা। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ বলে ৪০ রান।

২টি ছক্কা এবং ২টি চারের সাহায্যে এই ইনিংস সাজান তিনি। খুলনার হয়ে ৩৬ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির। আর একটি করে উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক এবং শহীদুল ইসলাম।

ম্যাচটির শুরুতে টস জিতে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এরপর খেলতে নেমে মাত্র ২৬ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আন্দ্রে রাসেলদের রাজশাহী।

সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শোয়েব মালিক এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬৬ রানের মাথায় আফিফকে শফিউল ইসলামের হাতে ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙ্গেন পেসার শহীদুল।

১৭ বলে ১৯ রান করে আফিফ বিদায় নিলে চতুর্থ উইকেটে রবি বোপারাকে সঙ্গে নিয়ে ১০৬ রানের বড় জুটি গড়েন মালিক। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে মালিককে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান তারই স্বদেশী মোহাম্মদ আমির। পরবর্তীতে আন্দ্রে রাসেল এবং বোপারার ব্যাটে আর উইকেট না হারিয়ে ইনিংস শেষ করে রাজশাহী।

আজকের বাজার/আরিফ